১৮ শতকের বাংলা পুঁথি অস্ট্রেলিয়ার গহীন মরুতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ২১ অক্টোবর ২০১৭

কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলের প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার গভীর মরুভূমিতে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া যায় একটি প্রাচীন গ্রন্থ। মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন ভেবে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর এ ব্যাপারে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ-এশিয়া ইন্সটিটিউটের অবসাইটে তথ্য প্রকাশ করা হয়।

তবে সেই গ্রন্থটি যে আসলে বাংলা ভাষায় লেখা শত বছরের পুরনো তা সেখানে গিয়ে দেখতে পান অস্ট্রেলিয়ান-বাংলাদেশি একজন গবেষক ড. সামিয়া খাতুন।

সামিয়া খাতুন জানান, ইতিহাসের বই-এ যখন তিনি ওই কুরআনের কথা পড়েন, তখন তিনি তা দেখতে পাড়ি জমিয়েছিলেন সেখানে। বইটি খুঁজে বের করার পর তা খুলে দেখি সেটি কুরআন নয়, বাংলা কবিতা।

সামিয়া খাতুন গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পেরেছেন বহু জাহাজী সে সময় ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। বহু বাঙালি উটের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল। অনেক বাঙালি সেসময় আয়ার কাজ করতেও সেখানে গিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, লেখাটি ছাপা হয়েছিল ১৮৬১ সালে; জনপ্রিয়তার কারণে সেটা কয়েকবার পুর্নমুদ্রিত হয়েছে। এই কপিটি ১৮৯৫ সালে ছাপা বলেও জানান তিনি।

বাঙালি অভিবাসীরা তখন অস্ট্রেলিয়ার গহীন এলাকায় পুঁথিপাঠ করতেন। ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে বাঙালিদের মধ্যে পুঁথিপাঠের একটা সংস্কৃতি চালু ছিল। সেখানে ওই সময় একটা বড়সড় বাঙালি জনগোষ্ঠি ছিল বলেই এই পুঁথিপাঠের চর্চা গড়ে উঠেছিল বলে মনে করেন সামিয়া।

এছাড়া সেই পুঁথিপাঠ শুনতে আসতেন অন্য দেশ থেকে সেখানে যাওয়া অনেক মানুষ, যারা বাঙালি ছিলেন না। এইসব কবিতা তাদের জন্য অনুবাদ করে শোনানো হতো।

সূত্র : এসবিএস

কেএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।