জার্মানিতে চালু হল সেক্স ডল যৌনপল্লী
হলিউডের অনেক চলচ্চিত্রে দেখা গেছে যন্ত্রমানবের সঙ্গে প্রেম। চলচ্চিত্রের সেই পর্দা ছাড়িয়ে বাস্তব জগতেও ঘটতে যাচ্ছে সেই ঘটনা। রোবট নয়, সম্প্রতি নানান দেশেই চাহিদা বাড়ছে ‘সেক্স ডল’-এর। সেই চাহিদার হিসেব কষেই জার্মানিতে সম্প্রতি চালু হয়েছে ‘সেক্স ডল’ যৌনপল্লী।
‘বোরডল’ নাম দেয়া হয়েছে স্কারলেট-লিট স্ট্রিটের ডর্টমন্ডের ওই যৌনপল্লীর। ২৯ বছর বয়সী ইভেলিন সুয়ার্জ নামের এক নারী সেই যৌনপল্লী চালান। নিজস্ব ওয়েবসাইটও রয়েছে এই পল্লীর। চালু হওয়ার পর দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বোরডল।
ইভেলিন সুয়ার্জ জানান, নানান রকমের পুতুলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে খদ্দেরের চাহিদার কথা মাথায় রেখে। সুন্দরী তরুণীর আদলে তৈরি ১১ টি ‘সিলিকন’ পুতুল রাখা হয়েছে সেখানে, যাদের আবার আলাদা আলাদা নামও দেয়া হয়েছে।
৩০ কেজি ওজন প্রতিটি পুতুলের। প্রায় দুই হাজার ইউরো দাম এশিয়া থেকে আমদানি করা ওই পুতুলগুলোর। পছন্দের পুতুলের জন্য নাকি কোনো কোনো খদ্দের বিশেষ পোশাকও নিয়ে আসেন। এমনটাই দাবি করেছেন ইভেলিন।
ইভেলিনের ভাষায়, সমাজের বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এখানে খদ্দের হিসেবে আসেন। সেই বিবেচনায় পুতুল যৌনকর্মীদের উচ্চতা, চুলের রঙ এবং শারীরিক গঠন ভিন্ন ভিন্ন রাখা হয়েছে। ‘ব্রথেল’ নামের পুতুল সেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। জাপানি মেয়ের আদলে তৈরি ‘ব্রথেল’ নীল নয়না। খদ্দেরের চাহিদা মেটাতে ব্রোথেলের ডাক পড়ে দিনে অন্তত ১২ বার।
৭০ শতাংশ খদ্দের একাধিক বার সেখানে গেছেন বলে দাবি যৌনপল্লীর মালিকের। ইভেলিন জানান, নারী যৌনকর্মীদের থেকেও এই পুতুলগুলোর চাহিদা এখন বেশি। অনেক নারী তাদের স্বামীকে এখানে নিয়ে আসেন।
এই পেশার মধ্যে খারাপ কিছু দেখেন না ইভেলিন। খদ্দেরের চাহিদা পূরণ এবং আনন্দদানের জন্যই এই ব্যবস্থা রাখার কথা জানান তিনি। সেখানে যৌনপল্লীর সফলতা দেখে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে একই রকম আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
কেএ/আইআই