‘পড়াশোনা করো বা না করো, চাকরি পাবে না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

তোমরা পড়াশোনা করো কিংবা না করো, চাকরি পাবে না। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চল আল আহসা এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কথা বলেছেন।

শিক্ষার্থীদের মনের সুপ্ত বাসনাকে জ্ঞানের আলো দিয়ে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষকের হলেও তিনি শিশুদের মন অনেকটাই ভেঙে দিয়েছেন। শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য শোনার পর নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা করার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হবে তাদের মধ্যে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ওই শিক্ষকের কথাগুলো হুমকির মতো মনে হয়েছে। ইন্টারনেটে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষকের আচরণ দেখে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। তার ওই আচরণকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবেও উল্লেখ করেছেন অভিভাবকরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষজন মন্তব্য করছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক সবকিছু শেখানো উচিত, তাদেরকে দেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেয়া উচিত; যাতে করে আগামীতে তারা দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে।

কেউ কেউ মন্তব্য করেন, শিক্ষার্থীদের শেখানোর দায়িত্ব শিক্ষকের। কেউ হতাশাগ্রস্ত হলে তাকেও আশা দেখানোর দায়িত্ব শিক্ষকেরই। এই বয়সেই তাদেরকে জানানো উচিত হয়নি যে, তারা ভবিষ্যতে চাকরি পাবে কি না।

খালিদ আল জুহানি নামের একজন লিখেছেন, এটা একেবারেই হতাশাজনক ব্যাপার। অবশ্যই সেখানে স্মার্ট শিক্ষার্থী আছে। তাদেরকে আরও আশাবাদী করা উচিত ছিল ওই শিক্ষকের। আমি আশা করি সেই শিক্ষক বরখাস্ত হবে।

টিচার থ্রেটিং স্টুডেন্ট হ্যাশট্যাগ দিয়ে ওই ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে।

আল ফজর আবেদি নামের একজন মন্তব্য করেন, তার মানে শিক্ষার্থীরা কেবল চাকরি পাওয়ার আশায় পড়াশানা করে? এতে করে তো শিক্ষার্থীদের উচ্চাভিলাষী আশা-স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।

অসংখ্য অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, যেন অবিলম্বে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করে তার বক্তব্যের জন্য শাস্তি দেয়া হয়।

সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুবারক আল ওসাইমি জানান, একজন শিক্ষক এরকম কথা বলতে পারেন, এটা আমি ভাবতেই পারছি না। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সূত্র : সৌদি গেজেট

কেএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।