শিশুদের পাসপোর্টে পরিবর্তন চান টিউলিপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

ব্রিটেনে বিরোধী লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক শিশুদের ব্রিটিশ পাসপোর্টে কিছু পরিবর্তনের দাবিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলছেন, পাসপোর্টে যদি পিতামাতা দুজনেরই নাম থাকে তাহলে অনেক সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

বর্তমানে পাসপোর্টে শুধু শিশুর নামই উল্লেখ থাকে। সেখানে বাবা কিংবা মা কারো নাম উল্লেখ থাকে না। কিন্তু টিউলিপ সিদ্দিক তার বাচ্চা ও স্বামীকে নিয়ে সম্প্রতি হলিডে থেকে ব্রিটেনে ফিরে আসার সময় তিক্ত এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়ার পর পাসপোর্টে এই পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক।

সম্প্রতি তিনি তার বাচ্চা মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় যুক্তরাজ্যের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকারী কর্মীরা তাকে ট্রেনে উঠতে দিচ্ছিলেন না। কারণ বাচ্চার নামের যে পদবী তার সাথে বাচ্চার নামের পদবীর মিল ছিল না।

হোম অফিস বলছে, শিশু পাচার বন্ধ করার জন্যে মা ও শিশুর পদবীতে মিল না থাকলে মায়েদেরকে এভাবে আটকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এটা করা হয় শিশুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উদ্দেশে।

টিউলিপ সিদ্দিক বলছেন,গত পাঁচ বছরে এরকম ছয় লাখ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাচ্চার সাথে তাদের সম্পর্ক প্রমাণ করার জন্যে। এজন্যে অনেককেই, যাদের কাছে তখন বিয়ের কিম্বা জন্মের সার্টিফিকেট ছিল না এবং স্বামী কিম্বা পার্টনারকে ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন, তখন তাদেরকে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, এরকম ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে কারণ অনেক নারীই এখন বিয়ের পর তাদের নামের পদবী বদলাতে চান না। এক জরিপ বলছে, প্রত্যেক সাতজন নারীর একজন বিয়ের পর তাদের পরিবারের দেওয়া পদবীটাই রেখে দিতে চান। আর ৪ শতাংশ নারী তাদের বাচ্চার নামের সাথে স্বামীর পরিবর্তে নিজের পদবীই জুড়ে দিতে আগ্রহী।

এই ঘটনার পর এমপি সিদ্দিক হোম অফিসে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন বাচ্চাদের পাসপোর্টে পিতা ও মাতা দুজনের নামই লিখে দেওয়ার জন্যে, যাতে বিমানবন্দরে ও সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়।

তিনি বলেন, আমি জানি না পদবী পরিবর্তন না করার জন্যে আমাকে কেন শাস্তি পেতে হবে। আমি ৩০ বছর বয়সে বিয়ে করেছি, আমার নিজের একটা জীবন আছে, আমার নিজের পদবীরও একটা মর্যাদা আছে।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।