ধর্মশালায় দালাইলামার ৮০তম জন্মদিন উদযাপন


প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২১ জুন ২০১৫

তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাইলামার ৮০তম জন্মদিন রোববার নির্বাসনে তার নিজ শহরে প্রার্থনা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।

ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ৬ জুলাই দালাইলামা ৮০ বছরে পা দেবেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান করবেন। তবে তিব্বতী চান্দ্র ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রোববার তার দাপ্তরিক জন্মদিন। দালাইলামা তার পরিবার, ভক্ত ও অনুসারীদের নিয়ে দিনটি ধর্মশালায় উদযাপন করেন।

৮০তম জন্মদিনে উৎফুল্ল এই আধ্যাত্মিক নেতা তার সঙ্গের অন্যান্য নির্বাসিত তিব্বতী এবং ভারতীয় ও বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বলেন, তিনি আরো ২০ বছর বাঁচার প্রত্যাশা করেন এবং মানুষের মধ্যে মমত্ব ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য কাজ করে যেতে চান।

উত্তর ভারতের পার্বত্য শহর ধর্মশালার সুগলাখাং মন্দিরে এক বক্তৃতায় দালাইলামা বলেন, ‘আশা করি আপনারা সবাই আবার আমার ৯০তম জন্মদিন উদযাপনে আমার সঙ্গে থাকবেন।’

দালাইলামা ১৯৫১ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে পালিয়ে এসে ভারতের ধর্মশালায় বাস করছেন।

তিব্বতের প্রবাসী সরকারের নেতা তিব্বতের সকল মানুষের পক্ষ থেকে দালাইলামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি তিব্বত ও এর সংস্কৃতি লালনের আমৃত্যু অঙ্গীকার এবং বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার বৈশ্বিক দায়িত্ব সংক্রান্ত শিক্ষার জন্য দালাইলামাকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সমবেত আট হাজার মানুষের জমায়েতের উদ্দেশ্যে লবস্যাং স্যাঙ্গে বলেন, ‘আপনি আমাদের গণতন্ত্র ও সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আশাবাদে উজ্জীবিত করেছেন, আপনি সকল মানুষের আশা ও আলোর বাতিঘর।’

তিনি বলেন, ‘তিব্বতের মানুষের কাছে আপনি হলেন, তিব্বতের প্রাণ ও আত্মা।’ অনুষ্ঠানে তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করা হয় এবং দালাইলামার দীর্ঘ জীবন কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

দালাইলামা আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনৈতিক ভূমিকা ছেড়ে দিলেও ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন। চলতি মাসে তার ব্রিটেন ভ্রমণের কথা রয়েছে। এর পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। তিনি ২০১১ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন। এবারের জন্মদিন উদযাপনে তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য তার আজীবন সংগ্রামের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি।

একে/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।