মোটা হয়ে যাচ্ছে শিশু-কিশোররা
সারাবিশ্বেই শিশু-কিশোরদের মোটা হয়ে যাওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। শিশু-কিশোরদের মোটা হয়ে যাওয়ার মাত্রা ১০ গুণ বেড়ে গেছে গত ৪০ বছরে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সারাবিশ্বে ১২ কোটি ৪০ লাখ শিশু-কিশোর মোটা হয়ে যাচ্ছে বলে নতুন গবেষণায় দেখানো হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে সাড়ে সাত কোটি মেয়ে এবং ১১ কোটি ৭০ লাখ ছেলের ওজন অস্বাভাবিক। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ২০২২ সাল নাগাদ মোটা শিশুর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের কয়েকজন বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে দুই হাজার চারশটি গবেষণার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে।
গবেষণা কর্ম সম্পাদনের সময় পাঁচ থেকে ১৯ বছরের তিন কোটি ২০ লাখ শিশুর ওজন ও উচ্চতা মাপা হয়েছে। নতুন গবেষণার নমুনায় ছিল দুই শতাধিক দেশের শিশু। সেসব দেশে শিশু-কিশোরদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রকার ও ধরন বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন স্থূলতায় আক্রান্ত। অবশ্য সেটা কেবল যুক্তরাজ্যে। পরিণত বয়সে এই মোটা শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, স্তন ও কোলন ক্যান্সার হতে পারে এসব মোটা শিশুর।
লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক মাজিদ ইজ্জাতি ছিলেন এই গবেষণার প্রধান গবেষক। তিনি জানান, বেশি আয়ের দেশগুলোতে বেড়েছে শিশুদের মোটা হওয়ার সংখ্যা।
কমদামি ও ওজন বাড়ানোর মতো খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে মোটা শিশুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে যাবে।
কেএ/আইআই