লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ
লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে চলাচলকারী গুরুত্বপূর্ণ দুই জোড়া যাত্রীবাহী মেইল ও লোকাল ট্রেন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এ দুটো ট্রেনে চলাচলকারী উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলার হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এমনকি এ ট্রেনগুলো কবে নাগাদ চলাচল শুরু করবে তাও অনিশ্চিত।
গাইবান্ধার বোনারপাড়া জংশনের স্টেশন মাস্টার আতাউর রহমান জানান, পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত ১৩ জুন থেকে ১৯নং মেইল ও ২০নং ডাউন ট্রেন দুটির এবং ১৬ জুন থেকে ৭নং মেইল ও ৮নং ডাউন ট্রেন দুটির চলাচল বন্ধ করে দেয়। ট্রেনের চালক ও জনবল সংকট থাকায় এ ট্রেন দুটি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে বোনারপাড়া রেলওয়ে লোকো সেকশন সূত্রে জানা গেছে, এ সেকশনে চালক, সহকারী চালকসহ অন্যান্য সৃষ্ট পদের সংখ্যা ৬৪ জন। তার মধ্যে চালকেরই (এলএম) পদ ১৮। কিন্তু ১৪ জন চালকের পদ এখন শূন্য। কর্মরত রয়েছে মাত্র ৪ জন। পদগুলো অবিলম্বে পূরণ করা না হলে ট্রেন চলাচল বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে চলাচলকারী অতি গুরুত্বপূর্ণ দুই জোড়া মেইল লোকাল ট্রেন যার নং ২০ নিম্নগামী, ১৯ উর্ধ্বগামী, ৭নং উর্ধ্বগামী এবং ৮নং নিম্নগামী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো লালমনিরহাট- সান্তাহার এবং পঞ্চমগড়-সান্তাহার স্টেশনের মধ্যে চলাচল করছিল। ট্রেনগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী ২০নং লোকাল ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় সান্তাহার অভিমুখে ছেড়ে যেতো এবং ১৯নং মেইল ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশন থেকে লালমনিরহাট অভিমুখে ছেড়ে যেতো বিকাল ৪টায়।
এছাড়া ৭নং মেইল ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশন থেকে পঞ্চগড় অভিমুখে ছেড়ে যেতো সকাল সাড়ে ৯টায় এবং ৮নং ডাউন ট্রেনটি পঞ্চগড় স্টেশন থেকে সান্তাহার অভিমুখে ছেড়ে যেতো সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায়।
গাইবান্ধা নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম জানান, দুই জোড়া মেইল ও লোকাল ট্রেনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, বগুড়া ও নাটোর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার লক্ষাধিক শ্রমিক, দিনমজুর ও সাধারণ যাত্রীরা প্রতিদিন এক স্টেশন থেকে অপর স্টেশনে নিরাপদে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন করত। এছাড়াও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন জেলার অফিস আদালতে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাতায়াতের সুবিধা ও নিরাপদ মাধ্যম ছিল ট্রে গুলো। এগুলো বন্ধ করায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
অমিত দাশ/এসএস/আরআইপি