আর পারছি না ...

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৭

রাখাইন রাজ্যের সহিংসতাকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তা বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সোমবার কয়েক হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে পালংখালী জেলায় রয়টার্সের প্রতিনিধি কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে সীমান্ত পাড়ি দিতে দেখেছেন।

‘আমার গ্রামের অর্ধেক পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আমি এটা করতে দেখেছি’ বলছিলেন ৪৬ বছর বয়সী সৈয়দ আজিন। তিনি আরও জানান, ৮০ বছর বয়সী মাকে তিনি এবং তার ছেলে মিলে ঝুড়িতে করে বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে আটদিন হেঁটে সীমান্ত পার করে নিয়ে এসেছেন।

rohingya

মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধরা তাদের নির্যাতন করত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও জানান, ‘আমি সবকিছু ছেড়ে এসেছি। এখানে এসে আত্মীয়দের খুঁজে পাচ্ছি না। ... আমি আর পারছি না।’

নতুনভাবে আসা শরণার্থীরা বলছেন, রক্তাক্ত হামলা চালিয়ে সীমান্তের দিকে আসতে রোহিঙ্গাদের বাধ্য করছে বৌদ্ধরা।

গত ২৫ আগস্ট সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অজুহাতে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ১৯ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

তবে সেনা ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলার কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবেও নিন্দা জানানো হচ্ছে শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির প্রতি।

rohingya

নিন্দা জানিয়ে অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজের প্রধান ফটক থেকে সু চির ছবি সরানো হয়েছে। রাখাইনের তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।

রোববার বাংলাদেশ উপকূলে ডুবে গেছে ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা একটি নৌকা। কমপক্ষে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে ওই নৌকাডুবির ঘটনায়। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জনকে।

সূত্র : রয়টার্স

কেএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।