ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ফুলছড়িতে ৩০ পরিবার গৃহহীন


প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১৯ জুন ২০১৫

পানি কমে যাওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের তীব্র স্রোতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঈদগাঁ মাঠসহ ওই গ্রামের ৩০টি পরিবার বসতভিটা, ঘরবাড়িসহ মূল্যবান গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফুলছড়ি ডিগ্রি কলেজ, ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদরাসাসহ এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। ফুলছড়ি-বরমতাইর সংযোগ রাস্তা ও কামারপাড়া রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে আরো দু`কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া কামারপাড়ার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের  রংপুর বিভাগ প্রধান প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল মিয়া, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

এলাকাবাসী জানান, গত দু`মাস ধরে ব্র‏হ্মপুত্র নদের  ভাঙন চলছে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে। কামারপাড়া ঈদগাঁ মাঠসহ ওই এলাকার অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফুলছড়ি-বরমতাইর সড়কটি হুমকির মুখে থাকায় নদীপারের মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গৃহহারা পরিবারের লোকজন তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা ডেপুটি স্পীকারের কাছে তাদের সহায় সম্বল রক্ষার আবেদন জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, কামারপাড়া এলাকার ভাঙন ঠেকাতে প্রথমে ৯০ লাখ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে দু`কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ চলছে।

অ্যাড. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানান হয়েছে। ইতোমধ্যে  ফুলছড়ি-বরমতাইর সংযোগ রাস্তা ও কামারপাড়া রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে আরো দু`কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত গতিতে বালিভর্তি জিওব্যাগ নদের কিনারে ফেলে ভাঙন ঠেকানো যায়।

অমিত দাশ/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।