সাগর থেকে সাংবাদিকের কাটা মাথা উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৬ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৭

ডেনমার্কের এক আবিষ্কারকের নিজের তৈরি সাবমেরিনে বেড়াতে যাবার পর নিখোঁজ হওয়া এক সুইডিশ সাংবাদিকের কাটা মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগেই তার দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়।

কোপেনহাগেনের দক্ষিণে কোগ উপসাগর থেকে ডুবুরিরা সাংবাদিক কিম ওয়ালের মাথা, পা এবং কাপড়চোপড় উদ্ধার করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এর কাছেই গত ২১ আগস্ট ওয়ালের দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, কাটা মাথাটি কিম ওয়ালেরই।

সৌখিন আবিষ্কারক পিটার ম্যাডসেনের সাবমেরিনে বেড়াতে গিয়েছিলেন সাংবাদিক কিম ওয়াল। তিনি সাবমেরিন নিয়ে একটি রিপোর্ট লিখতে চেয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর তার আর কোনো হদীস পাওয়া যায়নি।

ম্যাডসেনের বিরুদ্ধে কিম ওয়ালকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি তা অস্বীকার করছেন। তিনি জানিয়েছেন সাবমেরিনের গোল দরজায় মাথায় ধাক্কা খেয়ে ওয়াল মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু কাটা মাথাটিতে কোন আঘাতের চিহ্ন পান নি তদন্তকারীরা।

সাবমেরিনে বেড়াতে যাবার পর থেকে কিম ওয়ালের কোন খোঁজ না পাওয়ায় তার বন্ধু পুলিশে খবর দেন। পিটার ম্যাডসেন তাকে খুন করেছেন এবং তার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

Journalist-1

ম্যাডসেন একজন সৌখিন প্রকৌশলী। সাবমেরিন এবং মহাশূন্যগামী রকেট নির্মাতা তিনি। তার একটি নিজস্ব ল্যাবরেটরিও আছে।

ম্যাডসেন নিজেই ইউসি-থ্রি ধরণের একটি নটিলাস সাবমেরিন বানিয়েছেন। সেটাতেই কিম ওয়াল বেড়াতে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার ডেনমার্কের উপকুলে সেটি ডুবে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা মোলার জেনসেন বলেন, আমরা যে ব্যাগগুলো পেয়েছি তার একটিতে কিম ওয়ালের কাপড়চোপড়, মোজা এবং জুতো ছিল। তাছাড়া একটি ছুরিও ছিল। ব্যাগগুলোতে গাড়ির পাইপ ভরে তা ভারি করা হয়েছিল যেন এগুলো ভেসে না ওঠে।

সাবমেরিনটির আবিষ্কারক ম্যাডসেন কিম নিখোঁজ হবার পর প্রথম বলেছিলেন. তিনি তাকে নিরাপদে কোপেনহাগেনে নামিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি আবার তার গল্প পরিবর্তন করে বলেন, সেখানে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল এবং তিনি কিম ওয়ালকে সাগরে কবর দিয়েছিলেন।

Journalist

তিনি বলেন, এর পর তিনি তার সাবমেরিনটি ডুবিয়ে দিয়ে নিজে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিম ওয়ালের দেহ পাবার পর তার ময়নাতদন্ত করে দেখা গেছে তার যৌনাঙ্গ এবং পাঁজরে ছুরির আঘাত রয়েছে। এটা হয়তো মৃত্যুর সময় বা তারপরই হয়েছিল। অথচ তার মাথায় কোনও ভোঁতা অস্ত্র বা যন্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, কিমকে মারার পরে বিকৃতকাম পিটার তার দেহ টুকরো করে সেগুলো পানিতে ভাসিয়ে দেন। সরকারি কৌঁসুলি ডেনমার্কের আদালতে জানিয়েছেন, পিটারের ওয়ার্কশপ থেকে কিছু পেন ড্রাইভ মিলেছে যেখানে নারীদের যৌন অত্যাচারের পরে তাদের দেহ টুকরো করে কেটে ফেলার দৃশ্য রয়েছে।

পিটার অবশ্য এসব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। পেন ড্রাইভগুলিও তার নয় বলে আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।