ভারতে জরুরি অবস্থা নিয়ে আদভানির সতর্কবার্তা


প্রকাশিত: ০৬:৪৫ এএম, ১৯ জুন ২০১৫

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে আবারো জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভারতের `আইরনম্যান` খ্যাত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রবীণ বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি। গত বুধবার নিজ বাসভবনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন আশঙ্কাই করলেন আদভানি। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।

সাক্ষাৎকারে আদভানি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, ‘একবারও বলছি না যে দেশের দায়িত্ব সামলানোর জন্য বর্তমান সরকার পরিণত নয়। তবে আমি হলফ করে এটাও বলতে পারছি না যে আরো একবার ভারতকে জরুরি অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমে জেলে গিয়েছিলেন তিনি। আগামী ২৫ জুন জরুরি অবস্থা জারির ৪০ বছর পূর্তি। সাক্ষাৎকারে তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল আদভানিকে।

তিনি বলেন, ‘আমি বলি না যে রাজনৈতিক নেতারা পরিপক্ক হয়নি। তবে জরুরি অবস্থা যে আবারো জারি হতে পারে সে ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী নই।’ সাবেক এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে এমন কোনো চিহ্ন, নেতৃত্বে অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পারছি না যা আমাকে নিশ্চিত করবে। গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য বিষয়গুলোতে ঘাটতি রয়েছে।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিগুলো ক্রমশ শক্তিসঞ্চয় করেছে। ফের জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে। এসময় ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সেই সময়ে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও দেশকে ওই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

এদিকে সাক্ষাৎকারে আদভানি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে কোনো বার্তা প্রদান করেননি বলে মনে করেন ভারতের রাষ্ট্রীয় সমন্বয়ক সংস্থার উপদেষ্টা ও বিজেপির নেতা এমজি বৈদ্য।

তবে আদভানিকে বিজেপির সিনিয়র নেতা হিসেবে উল্লেখ করে বিজেপির মুখপাত্র এম জে আকবর বলেন, আদভানি জি বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটোতেই বড়, তাই তিনি মোদির সম্পর্কে কথা বলতেই পারেন।

বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।