এখনও পুড়ছে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনও রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া বন্ধ হয়নি। মংডোতে গত ২৪ ঘণ্টায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের ২৩ টি বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার কারফিউ জারি করে রাখার মধ্যেই এসব বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল।
বিবিসির মিয়ানমারের সাংবাদিক জানান, শুক্রবার দুপুরে রোহিঙ্গাদের আটটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ১৫ টি বাড়িতে আগুন দেয়ার কথাও জানান তিনি।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অগ্নিসংযোগের ঞটনা ঘটলেও তাতে কেই হতাহত হয়নি। কারণ ওই ঘরবাড়িতে সে সময় কেউ ছিল না।
২৫ আগস্ট সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অযুহাতে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে গত এক মাসেই পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
মাঝখানে কয়েক দিন রোহিঙ্গাদের ঢল কিছুটা কমলেও আবার শরণার্থী শিবিরের দিকে তাদের আসার সংখ্যা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে থাকা অল্প কিছু রোহিঙ্গারাও আতঙ্কে পালিয়ে আসতে পারে।
যেসব এলাকায় নতুনভাবে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, সেই এলাকার কোনো কোনো স্থানে রোহিঙ্গা মুসলমান এবং বৌদ্ধদের একত্রে বসবাস। আবার কিছু গ্রামে কেবল রোহিঙ্গা মুসলমানরাই বসবাস করতো।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন কারা লাগিয়েছে সে ব্যাপারে তারা এখনও কিছু জানতে পারেনি। তবে কারণ উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতের ভারী বর্ষণে আগুন এমনিতেই নিভে গেছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক।
সূত্র : বিবিসি
কেএ/জেআইএম