মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানে পদার্থের নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
চলতি বছর পদার্থে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- রেইনার ওয়েইস, ব্যারি সি. ব্যারিশ ও কিপ এস থোর্নে। মঙ্গলবার রয়াল সুইডিশ একাডেমি স্থানীয় সময় সুইডেনের বেলা সাড়ে ১১টায় এ তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদার্থের নোবেল পেয়েছেন এই তিন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানী রেইনার ওয়েইস জার্মান বংশোদ্ভূত। এছাড়া অপর দুই বিজ্ঞানী ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থোর্নে মার্কিন নাগরিক।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব অভজারভেটরিতে (লিগো- ভিরগো) কাজ করেন এই তিন বিজ্ঞানী।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্ল্যাক হোলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার ঘোষণা দেয় লিগো-ভিরগো। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রয়্যাল সুইডশ একাডেমি বলছে, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ এবং শনাক্তরণে সক্ষম হয়েছেন এই তিন বিজ্ঞানী।
মঙ্গলবার স্টকহোমে এক সম্মেলনে নোবেল কমিটির প্রতিনিধি জানান, পদার্থবিদ্যায় চলতি বছরের পুরস্কার এমন একটি আবিষ্কারের জন্য দেয়া হচ্ছে; যা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
লিগো-ভিরগোর গবেষকরা বলেছেন, সূর্য থেকে প্রায় ৩০ গুণ ভারী দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের সংঘর্ষ থেকে উৎপন্ন মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করেছেন তারা। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার পদ্ধতি আবিষ্কার এবং এ নিয়ে গবেষণায় সফলও হয়েছেন।
এ তরঙ্গ সম্পর্কে শত বছর আগে ধারণা দিয়েছিলেন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো মহাবিশ্বের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করেন লিগো-ভিরগোর এই তিন বিজ্ঞানী।
ওই সময় জানানো হয়, সূর্য থেকে প্রায় ৩০ গুণ ভারী দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের সংঘর্ষ থেকে এই তরঙ্গের উৎপত্তি হয়। পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে মহাকর্ষীয় এ তরঙ্গ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে; যা পদার্থবিদ্যায় যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটিয়েছে।
১৯০১ সালের পর থেকে নোবেল কমিটি এ পর্যন্ত ১১১ বার পদার্থে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে। গত বছর পদার্থের টপোলজি ক্ষেত্রে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল জিতেছেন ব্রিটিশ তিন বিজ্ঞানী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট, নোবেল ডট ওআরজি।
এসআইএস/আরআইপি