পদদলনে আটকা তরুণীকে যৌন হয়রানি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৭

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতে। মুম্বাইয়ের এলফিনস্টোন স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ২২ জন নিহত হওয়ার সময়কার ঘটনা সেটি। ওই মুহূর্তে স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজে ভিড়ের মধ্যে অাটকা পড়া নারীদের সহায়তার ফাঁকে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে চারটি ট্রেন স্টেশনে এসে থামে। সে সময় হুড়োহুড়ি এবং বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকজন নারী যাত্রী পা পিছলে পড়ে যান। এতে করে চারপাশে আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে ২২ জন প্রাণ হারান। সেই মুহূর্তে ওভারব্রিজে ভিড়ের মধ্যে আটকা তরুণীকে বেশ কয়েকজন মিলে মাটিতে নামিয়ে নেন; আর ঘটনাটি ঘটে সেসময়।

দাদার পুলিশ স্টেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ওই মুহূর্তে ওই ব্যক্তি সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য স্টেশন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিডিও দেখলে যে কারও মনে হবে, ওই লোক ভিড়ের মধ্যে আটকা পড়া মানুষজনকে সহায়তা করছেন।

তবে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন ৫) রাজিব জেইন জানান, যৌন হয়রানির মামলায় ৩৫ জনের জবনবন্দি নেব আমরা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ভিডিওতে একজনকে দেখা যাচ্ছে, অাটকা পড়া তরুণীকে সহায়তার নামে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে।

তিনি আরও জানান, ভিডিওতে দেখা ওই তরুণকে খুঁজছি আমরা। আমরা আরও কয়েকটি ভিডিও সংগ্রহ করেছি। একবার ওই যুবককে সনাক্ত করা গেলেই, আমরা প্রকৃত সত্য জানতে পারব।

তদন্তের চতুর্থ দিনে এসে অনেকেই পুলিশকে জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তারা ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করেই কিছু মানুষ এসে দৌড়ে এসে ভিড় জমিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অনেককেই ফেলে দেয়।

স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তবে সেই ফুটেজ থেকে তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে ভিড় আর টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাঁড়ানো লোকদের ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

সেকারণে ১৫টি আলাদা ভিডিও এবং দুর্ঘটনার মুহূর্তে তোলা ছবি সংগ্রহ করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে অনেকেই অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

তাদের দাবি, সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া ব্যক্তির নামে এ ধরনের অপবাদ দেয়া ঠিক হয়নি। এরকম করলে পরবর্তী সময়ে কোনো নারী দুর্ঘটনার কবলে পড়লে মানুষজন সহায়তা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

অনেকে তো মানতেই চাইছেন না, সেখানে কোনো যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এখন অপেক্ষা ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ কী প্রতিবেদন দেয়।

সূত্র : এনডিটিভি

কেএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।