যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্টে বন্দুক হামলায় নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের কনসার্টে এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। রোববার রাতে মানদালয় বে হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোর ওই গোলাগুলিতে আহত হয়েছে আরো শতাধিক।

স্থানীয় পুলিশ বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারী মারা গেছে। বিবিসি বলছে, মানদালয় বে হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোর ৩২ তলা থেকে একজন বন্দুকধারী গুলি ছুড়েছেন।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। তবে তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। কর্মকর্তাদের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছে।

jagonews24

স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গোলাগুলির সময় শত শত মানুষ দৌড়ে পালাচ্ছেন। এসময় স্বয়ংক্রিয় বন্দুক থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।

লাস ভেগাসের অপর একটি এলাকায়ও গোলাগুলির ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। তবে পুলিশ বলছে, নিহত সন্দেহভাজন হামলাকারী একাই হামলায় অংশ নিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মানদালয় বে হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোয় তিন দিনব্যাপি রুট নাইনটি ওয়ান হার্ভেস্ট ফেস্টিভালে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কনসার্টে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ অংশষ নিয়েছিলেন। মানদালয় বে’র পাশেই এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সংগীতশিল্পী জ্যাসন অ্যালডিন গান পরিবেশনের জন্য মঞ্চে ওঠার পর পরই গোলাগুলি শুরু হয়।

ইভেট্টা সালডানা নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী লাস ভেগাস রিভিউ জার্নালকে বলেন, গোলাগুলির সময় তিনি মঞ্চের সামনের দিকে ছিলেন। ‘এটা ছিল ভয়াবহ একটি শো। লোকজন চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, সঙ্গে সঙ্গে তারা মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে।’

jagonews24

রাসেল ডেকার্ফ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, বন্দুকের গুলি কখনোই থামবে না। গুলি চলছে তো চলছেই।’

পুলিশ ওই এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আশপাশের সব সড়কও বন্ধ রয়েছে। গুলিতে আহত অনেককে স্থানীয় ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হয়েছে। পুলিশ লাস ভেগাসের দক্ষিণের এই শহরের শেষ অংশ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয়দের।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।