মালদায় আমের কেজি ৫ টাকা : চাষীদের মাথায় হাত!


প্রকাশিত: ০৭:৩৯ এএম, ১৭ জুন ২০১৫

ভারতে আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু এই ফলন দুর্ভাগ্য হয়ে দেখা দিয়েছে আমচাষীদের জন্য। মালদার বাজারে হিমসাগর, লক্ষণভোগ ও ল্যাংড়ার মতো আম বিকোচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ৫ থেকে ৬ রুপিতে!

একদিকে বিপুল পরিমাণ উৎপাদন, অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আমদানী বন্ধ। এই দুয়ে মিলে সেখানকার আমচাষীদের এখন মাথায় হাত। ফলন অত্যধিক হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা গেছে কমে।

এ মৌসুমে ভারত থেকে আম আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত কর আরোপ করেছে। প্রতি কেজি আমে ভারতীয় মুদ্রায় ৩৬ রুপি কর দিতে হবে আমদানীকারকদের। এই অতিরিক্ত করারোপে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এবার ভারত থেকে আম আমদানিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার বাংলাদেশে আম আমদানি একরকম বন্ধ।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে এ মৌসুমে দশ লাখ মেট্রিকটন আম উৎপাদিত হয়েছে, যার মধ্যে ৫ লাখই শুধু মালদা জেলায়। এই বিপুল পচনশীল ফল এখন শুধু পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয় বাজারজাত করা সম্ভব, যা এই পরিমাণ উৎপাদনের বাজার হিসেবে যথেষ্ট নয়।

এই বড় রকম লোকসান গুনতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি উজ্জ্বল সাহা। তিনি বলেন, চার বছর আগে মালদাকে ভারতের আম এবং লিচু উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আশা করা হয়েছিল এখান থেকে আম বহির্বিশ্বে, ইউরোপে রপ্তানি হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগই নেয়নি।

তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফরের সময় অতিরিক্ত কর আরোপের বিষয়ে কোনো আলোচনা করলেন না। ফলে এবার আমাদের চরম লোকসান গুণতে হচ্ছে।

অবশ্য সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জি মালদার আমের বাজার পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, করারোপের বিষয়টি রাজ্য সরকারের আওতাধীন নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনি বিষয়টি জানাবেন বলেও আশ্বাস দেন।

এছাড়া, আন্তঃজেলা পরিবহনে যোগাযোগ শুল্ক মওকুফের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তবে তার এই ঘোষণাকে ‘খুবই দেরিতে, খুবই সামান্য’ বলে সমালোচনা করেছে মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স।

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।