নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ায় সৌদির প্রশংসায় ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে ডিক্রি জারি করার পর সেটাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও রক্ষণশীল এবং সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে মাঝেমাঝেই বিব্রতবোধ করে ওয়াশিংটন।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ গাড়ি চালানোর ব্যাপারে নারীদের অধিকারের ব্যাপারে একটি ডিক্রি জারি করেছেন। সেখানকার শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিলও এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে নারী অধিকার প্রদানের বিষয়টির প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নাওর্ট বলেন, আমি মনে করি সে দেশের জন্য এটি সঠিক দিক-নিদের্শনার মহান পদক্ষেপ। তারা যে এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেজন্য আমরা উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এটি খুবই ইতিবাচক লক্ষণ।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের নারীদের অধিকার ও সুযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ।

তবে গাড়ি চালাতে নারীদের অনুমতি দেয়ার পথ মোটেও সুখকর ছিল না। সৌদি আরবের চরম রক্ষণশীল সমাজে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছে। গাড়ি চালানোর অভিযোগে অনেক নারীকে কারাগারেও যেতে হয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে রাজকীয় এই ডিক্রি মোতাবেক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। তবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে তা কার্যকর হবে।

যদিও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি তবে এই রাজকীয় আদেশে বলা হয়, প্রয়োজনীয় শরীয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে। সৌদি সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে অনেক নারী টুইট করে স্বাগত জানিয়েছে।

সূত্র : এএফপি

কেএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।