সাত লাখ রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তার পরিকল্পনা জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাখাইন রাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মুসলিম রোহিঙ্গাসহ মোট সাত লাখ রোহিঙ্গাকে খাবার সরবরাহের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। আগামী সপ্তাহ থেকে খাবারে সঙ্গে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার পরিকল্পনার কথা এএফপিকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এখনও শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশের উপ-পরিচালক দীপায়ন ভট্টাচার্য বুধবার জানান, জাসিংঘের সকল সংস্থা মিলে সাত লাখ রোহিঙ্গার জন্য পরিকল্পনা করছে। যদি বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাত লাখে ঠেকে যায় তাহলে সেটা সামাল দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

rohingya-un

কয়েক দশক ধরেই রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তল্লাশে চৌকিতে হামলার অযুহাতে সেনাবাহিনী তাণ্ডব শুরু রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গাদের ঢেউ নামে।

দীপায়ন জানান, বর্তমানে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশ সেখানে ত্রাণ পাঠিয়েছে।

ইতোমধ্যে তিন লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় শিবিরে স্থান দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফলে নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে মোট ১০ লাখ মানুষকে স্থান করে দেয়া হবে।

rohingya-un

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে গেছেন। রোহিঙ্গাদের খাবার এবং আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য তিনি বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক সহায়তার কথা বলেছেন।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় লোকজনের উদারতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়; তবে আন্তর্জাতিকভাবে তাদেরকে বিপুল পরিমাণ সহায়তা করা দরকার, সেটা অর্থনৈতিকভাবে এবং জিনিসপত্র দিয়ে।

জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় আগামী ছয় মাসে দুইশ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

সূত্র : চ্যানেল নিউজ এশিয়া

কেএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।