অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষায় ব্যর্থ কাতার : এইচআরডব্লিউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর আয়োজক দেশ কাতারে কর্মরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৮ লাখ অভিবাসী শ্রমিককে তীব্র তাপমাত্রা থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। একই সঙ্গে শ্রমিকদের সুরক্ষায় নতুন আইন চালুরও আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনা তদন্ত ও ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করতে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

qater

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক নিকোলাস ম্যাকগিহান বলেছেন, তাপ থেকে শ্রমিকদের সবচেয়ে মৌলিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের মৃত্যু, মৃত্যুর যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে এইচআরডব্লিউ’র সুপারিশ উপেক্ষা করেছে কাতার।

কাতারে শ্রমিকদের তাপ ও আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই কর্মকর্তা বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা, জাতীয় ফুটবল সংগঠন ও বিশ্বকাপের আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

qater

ম্যাকগিহান বলেন, তাদের অবশ্য দুটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা উচিত। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং কীভাবে তারা মারা গেছেন।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর কারণে গত ১৫ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কাতারে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা সকালে সাড়ে ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই কর্মঘণ্টা বাস্তবায়নে নতুন একটি আইনেরও প্রয়োগ করা হয়। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, শ্রমিকদের সুরক্ষায় কাতারের এই পদক্ষেপ যথেষ্ঠ নয়।

qater

শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা পরিষ্কার করতে দোহাকে আরো স্বচ্ছ অবস্থান তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। সংস্থাটি বলছে, কাতারে শ্রমিক মৃত্যুর সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় ২০১২ সালে।

এসময় দেশটিতে কর্মরত ৫২০ শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে জানায় দোহা। নিহত শ্রমিকদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের। শ্রমিক নিহতের ৩৮৫টি ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা কিংবা তদন্ত করেনি কাতার।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।