এবার রোহিঙ্গাদের পক্ষে মত দিলেন বিজেপি’র বরুণ গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডব সহ্য করতে না পেরে ভারতে ঢুকে পড়েছে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীকে দেশ থেকে বের দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেছে কেন্দ্র সরকার। এরকম পরিস্থিতিতে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ বরুণ গান্ধী।

ভারতের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্রে রোহিঙ্গাদের সমর্থনে প্রতিবেদন লেখেন বরুণ গান্ধী। ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত না করার পক্ষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন সুলতানপুরের এই বিজেপি সাংসদ।

মিয়ানমারে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ঠেলে না দেয়ার কথা বলেন তিনি। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। বিজেপির ভিতরেই শুরু হয় সমালোচনা। বরুণ গান্ধীর এই বক্তব্য দেশের পক্ষে ক্ষতিকর বলেও যুক্তি দাঁড় করানো হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হংসরাজ আহিরও বরুণ গান্ধীর সমালোচনা করেছেন।

কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। মমতা জানান, রোহিঙ্গারা সাধারণ মানুষ, সন্ত্রাসী নয়। সেকারণে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী। মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেকারণে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনো দরকার নেই।

সেু চি কয়েকদিন আগে দেশের জনগণের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে জানান, চিহ্নিত করার পর রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে আসায় কোনো বাধা নেই।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের বড়সড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের দাবি সমর্থন করেছে গোয়েন্দারাও। তাদের একাধিক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজশের কথা বলা হয়েছে।

তবে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে চার লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের সমালোচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক মহল।

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক গণ আদালত রোহিঙ্গা নিপীড়ন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মিয়ানমার সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

অন্যদিকে ভারতের গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোহিঙ্গাদের একাংশের।

তবে আরাকান স্যালভেশন আর্মি সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য নয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর সংগঠনটির সদস্যরা বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনাকে ইতোমধ্যেই পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

কেএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।