রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরা বিস্তারের সর্বোচ্চ ঝুঁকি : ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা থেকে পালিয়ে গত ২৫ আগস্ট থেকে এই শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় ৪ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, এক মাস আগে বাংলাদেশমুখী রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হয়েছে। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ৬৮টি শিবির ও সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ খাবার পানি, স্বাস্থ্য সুবিধা নেই।

দ্রুতই বিশ্বের বড় শরণার্থী শিবিরগুলোর অন্যতম পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া শিবিরগুলোতে খাবার ও ওষুধের ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলছে, ‘পানিবাহিত রোগের বিস্তারের তীব্র ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। যে কারণে সকলেই উদ্বিগ্ন।’

‘সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলেও পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক এবং চ্যালেঞ্জিং।’

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাম্প্রতিক ঢলে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ব্যাপক চাপ পড়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনের আগের সহিংসতায় পালিয়ে আসা প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছেন কক্সবাজারে।

ডব্লিউএইচও বলছে, ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, গত এক মাসের মধ্যে অন্তত সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গাকে ডায়রিয়া চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে হাম ও পোলিওর টিকা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-প্রধান এনায়েত হোসাইন বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে আমরা উদ্বিগ্ন।’

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।