এখনও রোহিঙ্গা গ্রামে আগুন জ্বলছে : অ্যামনেস্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন গ্রামে রোহিঙ্গা বসতিতে এখনও আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

গত শুক্রবার স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া অগ্নিকাণ্ডের তিনটি ভিডিও ও ছবি রয়েছে বলে দাবি লন্ডনভিত্তিক এ সংস্থার। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এসব তথ্য রয়েছে।

যদিও এরআগে ভাষণে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি দাবি করেছিলেন, রাখাইনে সেনা অভিযান শেষ হয়েছে।

অ্যামনেস্টির অভিযোগ, রাখাইনে রোহিঙ্গা বসতিগুলোতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও স্থানীয় রাখাইন অধিবাসীরা আগুন দিচ্ছে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া রাখাইন সহিংসতায় গত এক মাসে অন্তত ৪ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ঘরবাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় রাখাইনরা। চালানো হয়েছে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন।

শুক্রবার অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স পরিচালক তারিনা হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, আকাশ ও স্থল থেকে নেওয়া এসব প্রমাণ বিশ্বজুড়ে সু চির দাবিকে প্রশ্নের মুখোমুখি করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাখাইনের মুসলিম গ্রামগুলোতে আগে ও পরে অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গারা অভিযানের মুখে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে। তাদের শুধু গ্রাম থেকে তাড়ানোই হচ্ছে না, যাতে আর ফিরতে না পারে, সে জন্য ঘরবাড়ি পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে।

২১ সেপ্টেম্বর রাখাইনের হাপর ওয়াট চুয়াং নামে গ্রামের কাছে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ও গাছপালা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা অ্যামনেকে জানিয়েছে, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এবং নজরদারি দলের সদস্যরা শুক্রবার বিকেলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু সময় পর আবারও বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে তারা।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ওই গ্রামে থেক নেয়া ছবি ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যালোচনা করে অ্যামনেস্টি। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বরও ওই গ্রাম থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগে গ্রামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা আগুনে পুড়ে গেছে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।