রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘে বৈঠক চায় সাত দেশ
মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার ব্যাপারে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আগামি সপ্তাহে বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি দেশ। সাতটি দেশের মধ্যে মিসর, কাজাখস্তান, সেনেগাল এবং সুইডেনও রয়েছে।
এই সাতটি দেশ চায়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবের ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব অান্তোনিও গুতেরাস যেন বিবৃতি দেন।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে চার লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী; উগ্র বৌদ্ধরাও গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করছে।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শিশু-বৃদ্ধ সবাইকে গণহারে হত্যা করছে দেশটির সেনারা; ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে নারীদের।
২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অযুহাতে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
সহিংসতা বন্ধে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকেও মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন, নিপীড়নের ঘটনায় তৈরি হওয়া মানবিক সঙ্কটের মধ্যে এক প্রকার নীরব ভূমিকা পালন করছিলেন সু চি।
মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন এই নেত্রী। ভাষণে সু চি বলেন, আন্তর্জাতিক চাপে ভীত নয় মিয়ানমার।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। শান্তি না আসা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে। আমরা শান্তি এবং ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না। জাতির উদ্দেশে ভাষণে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে তেমন কোনো সমাধানের কথা উল্লেখ না করলেও সেনাবাহিনীর পক্ষে ঠিকই সাফাই গেয়েছেন এই নেত্রী। ফলে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার শিকার হন সু চি।
সেনাবাহিনীর তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত জাতিগত নিধনযজ্ঞের উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাখাইনের বর্বরতকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল
কেএ/এমএস