দাউদ চক্রে আবারও রাজনৈতিক নেতাদের নাম
আন্তর্জাতিক মাফিয়া সম্রাট দাউদ ইব্রাহিম ও তার ভাইয়ের সঙ্গে আবারও ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের নাম জড়ালো। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে উত্তাল হয়ে ওঠেছে মহারাষ্ট্র। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সরকারের শরিক দল শিবসেনা।
চাঁদাবাজির ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে গতকাল (বুধবার) মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকা থেকে দাউদের ভাই ইকবাল কাসকরকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। মুম্বইয়ে এক সময় দাউদের হয়ে চাঁদাবাজি, খুন ও অবৈধ নির্মাণে মামলার ফেরারি আসামি ছিলেন। তবে প্রমাণ না মেলায় ২০০৭ সালে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান ইকবাল কাসকর।
পুলিশ বলছে, গত কয়েক বছর থেকে আবারও চাঁদাবাজির ব্যবসা শুরু করেছে ইকবাল। জিজ্ঞাসাবাদে ইকবালের সঙ্গে একাধিক স্থানীয় কাউন্সিলর-সহ বিভিন্ন দলের নেতাদের যোগসাজশের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া যে এলাকাটিতে ইকবালের গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল সেখানে শরদ পওয়ারের দল এনসিপি-র প্রভাব রয়েছে। ওই দলের নেতাদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সম্পর্ক ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ, এর আগেও দাউদের সঙ্গে রাজনীতিকদের যোগাযোগের অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল মহারাষ্ট্রে রাজনীতি।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের কাছে প্রায় ১০-১২টি চাঁদাবাজির অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগকারীরা অধিকাংশই নির্মাণ ব্যবসায়ী বা গয়নার দোকানের মালিক। এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নেমে মুমতাজ শেখ ও ইশার আলি জামিল নামে দুইজনকে আটক করা হয়। মূলত তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ওঠে আসে দাউদের ভাই ইকবালের নাম।
তদন্তে জানা যায়, ভাই দাউদের নাম ভাঙিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চাঁদাবাজির চালিয়ে যাচ্ছে ইকবাল। ঠাণের এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ইকবালকে তিনি চারটি ফ্ল্যাট (মোট দাম ৫ কোটি টাকা) দিয়েছেন। এ ছাড়া নগদ আরও ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি। এরপরও আরও টাকা দাবি করছে ইকবালের লোকেরা।
আরএস/আরআইপি