সাত বছরের শিশুর ধর্ষকের ফাঁসি জনসম্মুখে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সাত বছর বয়সী নারী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ইরানে উৎফুল্ল জনতার সামনে একজনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার সাজাপ্রাপ্ত ৪২ বছর বয়সী ইসমাইল জাফরজাদেহ'র মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভিডিও রাষ্ট্র পরিচালিত সম্প্রচার মাধ্যমের ওয়েবসাইটেও শেয়ার করা হয়েছে।

অারদেবিল প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমের ছোট শহর পারসাবাদে ধর্ষক-খুনি ইসমাইলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

অারদেবিলের প্রসিকিউটর নাসের আতাবাতি সাংবাদিকদের জানান, সকল নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যাতে করে অন্যরা বিকারগ্রস্ত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

চলতি বছরের ১৯ জুন ফেরিওয়ালা বাবার সঙ্গে হাঁটার সময় একটু পিছন পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সাত বছর বয়সী আতিনা আসলানি। সেই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তৎপরতা চলেছে।

প্রসিকিউটর নাসের আতাবাতি আরও জানান, ইসমাইল তাকে ধর্ষণের পরপরই হত্যা করে তার বাড়ির গ্যারেজে মরদেহ রেখে দেয়। সেখান থেকে পুলিশ আতিনা আসলানির মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই ঘটনাকে ভয়ঙ্কর হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত বিচারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইসমাইলকে গ্রেফতারের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আগস্টের শেষের দিকে মামলার শুনানি শুরু হয়। ১১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তার ফাঁসির রায় দেন।

পারসাবাদের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ তাবেতাবেয়ী পরে ঘোষণা দেন, দু’বছর আগে এক নারীকেউ ইসমাইল হত্যা করেছেন; যে নারীর মরদেহও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কতোজনকে ফাঁসি দেয়া হয়, সে তথ্য কখনই প্রকাশ করে না ইরান। তবে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ২০১৬ সালে সারাবিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি ইরান; যাদের বেশিরভাগকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে মাদক চোরাচালানের দায়ে।

তবে দেশটির ইসলামি পেনাল কোড অনুযায়ী মৃত্যদণ্ডের পরিবর্তে ওই ব্যক্তির পরিবারের কাছে কিছু অর্থ চাওয়া হয়। সেই অর্থ দিতে পারলে মৃত্যুদণ্ড থেকে ওই ব্যক্তি রেহাই পায়। যাকে বলে ব্লাড মানি।

তেহরান শহরতলীতে এর আগে আট মাস বয়সী এক কন্যাশিশুকে হত্যা করা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। শিশুটিকে গাড়িতে রেখে তার বাবা বাড়ির দরজা খুলতে গেলে গাড়িটি চুরি হয়ে যায়। ছয়দিন পর ওই গাড়ির মধ্যে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় দুজন ব্যক্তি বিচারের আওতায় আসে।

সূত্র : এএফপি

কেএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।