রোহিঙ্গারা দেশের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক : ভারত
রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে ফেরত পাঠানো কার্যনির্বাহী নীতিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
লিখিত এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক এবং সম্ভাব্য হুমকি।
কেন্দ্র বলছে, জম্মু-কাশ্মির, দিল্লি, হায়দরাবাদ এবং মেয়াতে বেশ সক্রিয় রোহিঙ্গারা। ওই অঞ্চলগুলোতে ভারতের অভ্যন্তরীণ এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা খুবই বিপজ্জনক এবং সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সোমবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামালার শুনানি শুরু হয়েছে। এক আইনজীবী জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দিল্লির একটি শরণার্থী শিবিরে থাকছেন এমন দুই রোহিঙ্গা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেন।
গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিযিজু বলেন, সব রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এমনকি যারা জাতিসংঘের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছেন তাদেরও। তার এমন বক্তব্যের পরেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হতে পারে বলে কেন্দ্র যে বক্তব্য দিচ্ছে তা অস্বীকার করছে রোহিঙ্গারা। কোনো ধরনের ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করছে তারা।
কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ দেশের নীতিগত বিষয়, এখানে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ না করাই উচিত।
এদিকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেওয়ার ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। তবে সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
২০১২ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করতে শুরু করেছিল। এখন ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে দেশটিতে। তারা ধীরে ধীরে দেশের নিরাপত্তায় বড় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। আগামী ৩ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ভারতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা মুসলিমের সংখ্যা ১৬ হাজার। তবে বহু রোহিঙ্গা এখনও নিবন্ধিত হননি।
টিটিএন/এমএস