রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে মরক্কো, কানাডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩২ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার, কাপড় ও ওষুধ পাঠিয়েছে মরক্কো। দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দেশে সেনাবাহিনীর বিমানে করে ত্রাণগুলো পাঠানো হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এছাড়া কানাডার পক্ষ থেকে দুই দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলার ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেও গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

এদিকে ভারতে আশ্রয় নেয়া ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে মোদির সরকারের বিতাড়নের চেষ্টার মধ্যেই তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

moroccanaid

পাশে অাছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘের অধিবেশনেও কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

ত্রাণ পাঠানো হয়েছে ইরান, তুরস্ক এবং সৌদি আরব থেকেও। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ইরানের মানবিক ত্রাণবাহী প্রথম কার্গো বিমান শুক্রবার সকালে তেহরান ছেড়েছে। এসব ত্রাণ বাংলাদেশে জরুরি আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে বণ্টন করা হবে। ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ওই ত্রাণের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বস্ত্র ও নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী।

ইরানের রেড ক্রিসেন্ট ত্রাণ সংস্থার প্রধান মোর্তেজা সালিমি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেয়নি। ত্রাণগুলো বাংলাদেশে জরুরি আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করার কথাও জানান তিনি। আজকের এয়ার কার্গোতে ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হলেও মোট একশ ৫০ টন সাহায্য পাঠানো হবে বলেও জানান সালিমি।

moroccanaid

ভারত, চীন থেকেও ত্রাণ পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তবে ভারত থেকে ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব অান্তোনিও গুতেরাস বলেছেন, শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যাবে না, সেখানে তাদের নির্যাতনের আশঙ্কা রয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে জীবন বাঁচাতে ২৫ আগস্টের পর চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সেখানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়াকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে। সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকার এবং অং সান সু চিকে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহল। তারপরও সহিংসতা সমানহারে চলছে। বাংলাদেশে আসছে হাজার হাজার শরণার্থীর ঢল।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে পাঠ্যপুস্তকে পঠিত জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

সূত্র : ইকনোব্রো, সিবিসি নিউজ

কেএ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।