মারা গেল মুম্বাইয়ের সেই নাবালিকা ধর্ষিতার সন্তান
চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। তবু বাঁচানো গেল না মুম্বাইয়ের সেই নাবালিকা ধর্ষিতার সন্তানকে। জন্মের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় মারা গেল শিশুটি।
বাবারই এক সহকর্মীর লালসার শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল মুম্বাইয়ের ১৩ বছরের এক কিশোরী। তবে প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারেনি কিশোরীর পরিবার। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অস্বাভাবিকভাবে মোটা হয়ে যাচ্ছে দেখে। সেখানে গিয়েই ধরা পড়ে ২৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরী।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩(২)বি ধারা অনুযায়ী ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ হয়ে গেলে আর গর্ভপাত করানো যায় না। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হন কিশোরীর পরিবার।
আবেদনকারীর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতিও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ১৩ বছরের একটি নাবালিকার ২৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভপাত করানো কতটা নিরাপদ হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
আট মাসের ভ্রুণ প্রায় পরিণত। চিকিৎসকদের কেউ কেউ মত দেন, গর্ভপাত করালে মায়ের প্রাণেরও ঝুঁকি থেকে যাবে অনেকটাই।
অনেকের মত ছিল, গর্ভপাতের পাশাপাশি ঝুঁকি রয়েছে প্রসবেও। এর পরই মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট দেখে সুপ্রিম কোর্টের কথা মতো ‘টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি’ বা গর্ভাবস্থা শেষ করার পথ বেছে নেন চিকিৎসকেরা।
সে মোতাবেক শুক্রবার মুম্বাইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় ওই কিশোরীর। একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় সে।
জন্মানোর পরই শিশুটিকে ‘নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে’ ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, শরীরের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গই ঠিক মতো তৈরি হয়নি শিশুটির। রোববার থেকে তার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। অক্সিজেন সহায়তা থেকে সরিয়ে তাকে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রোববারই মৃত্যু হয় ওই নবজাতকের।
ওই কিশোরী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এনএফ/জেআইএম