‘নিজের দেশে গোমাংস খেয়ে ভারতে পা রাখবেন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

এবার একেবারে ভোল পাল্টে ফেলেছেন ভারতের পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফোনস। গত রোববার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরদিন বলেছিলেন বিজেপি কখনও বলেনি গোমাংস খাওয়া যাবে না। কোনো স্থানে খাবারের মেন্যু আমরা ঠিক করে দেইনি। সেটা জনগণ ঠিক করে নেবে।

তবে বৃহস্পতিবার একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটকরা নিজের দেশে গোমাংস খেয়ে তারপর ভারতে পা রাখলেই পারেন। আবার না হয় নিজের দেশে ফিরে গিয়েই গোমাংস খাবেন।

ভুবনেশ্বরে অন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুর অপারেটরস সম্মলেনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ ধরনের মন্তব্য করেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশ কিছু রাজ্যে গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে মোদির সরকার। সন্দেহের বশে একাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি পশু ক্রয়-বিক্রয়ে পর্যন্ত নানা ধরনের ভোগান্তি-নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

লাগাতার এমন ঘটনায় পর্যটন শিল্পের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে, পর্যটনমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সে বিষয়েও। এ ব্যাপারে আলফোনস জানান, এতে বিশেষ কোনো সমস্যা হবে না। আর ভারত বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার দেশ। সারা পৃথিবীর মানুষ এখানে এসে আমাদের জীবনযাত্রা দেখতে পারেন।

অবশ্য সেজন্য আমাদের নিজেদেরও দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশের ইতিহাসকে সম্মান জানাতে হবে। তবেই না সকলের সামনে এই সুন্দর দেশটাকে তুলে ধরতে পারব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিন্তু চলতি বছরে কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তাতে ক্ষোভ বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিজেপি সরকার এবার থেকে খাবারের মেনুও কি ঠিক করে দেবে? গত সোমবার পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের একদিন পর সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন কে জে আলফোনস।

সেদিন তিনি যুক্তি দিয়েছিলেস, গোয়ায় তো বিজেপি সরকার রয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে গোমাংস বিক্রি হচ্ছে। কেরালাতেও গোমাংস ভক্ষণে বাধা নেই। সরকার মোটেই আলাদা খাদ্যনীতি প্রয়োগ করতে চায় না।

তবে মাত্র দু’দিন পরই বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের অবস্থান নিলেন পর্যটনমন্ত্রী।

সূত্র : ফার্স্ট পোস্ট

কেএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।