গর্ভপাতের অনুমতি পেল ১৩ বছরের সেই শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০০ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভারতে ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের এক শিশু গর্ভপাতের অনুমতি পেয়েছে। মুম্বাই শহরে ধর্ষণের শিকার নাবালিকা ওই কিশোরীকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। খবর বিবিসির।

৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী ওই মেয়েটির গর্ভপাত করানোর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। আগামী শুক্রবার ওই ধর্ষিতা মেয়েটির গর্ভপাত করানো হবে বলে তার আইনজীবী বিবিসিকে জানিয়েছেন। হঠাৎ করেই শিশুটির শারীরিক পরিবর্তনের কারণে চিকিৎসা করাতে তার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরই গর্ভধারণের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

বাবার এক সহকর্মী শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে গর্ভপাত করতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।

মুম্বাইয়ের জে জে হসপিটালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্যানেলের তৈরি করা মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গর্ভপাত এখনই করানো হোক বা পরেই হোক তবুও ১৩ বছরের ওই মেয়েটির জীবনের ঝুঁকি একই রকম থাকবে।

ডঃ নিখিল দাতার গত ৯ আগস্ট মেয়েটির গর্ভাবস্থার বিষয়টি তার পরিবারকে জানান। তিনি আদালতের এই রায়কে যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেছেন।

মুম্বাইয়ের এই কিশোরীর ঘটনাটি সামনে আসার মাত্র কয়েকদিন আগেই চন্ডীগড়ে ১০ বছর বয়সী আর একটি ধর্ষিতা শিশু একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে।

ওই শিশুও ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিল। কিন্তু তাকে আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি। কারণ ওই শিশুর ক্ষেত্রে সেটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হত বলে চিকিৎসকরা মত দিয়েছিলেন।

jagonews24

প্রতি আড়াই ঘণ্টায় ভারতে ১৬ বছরের কমবয়সী একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। অপরদিকে ১৩ ঘন্টায় দশ বছরের কমবয়সী একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।

২০১৫ সালে ভারতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে দশ হাজারেরও বেশি শিশু। দেশটিতে ২৪ কোটি নারীর বয়স ১৮ হবার আগেই তাদের বিয়ে হয়েছে।

সরকারের একটি সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৩ দশমিক ২২ শতাংশ শিশুই বলেছে, তারা কোন না কোনভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।