‘হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ায় ভূমিকম্প’
উত্তর কোরিয়ায় বড় আকারের ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য নতুন হাউড্রোজেন বোমা তৈরি করা হয়েছে রোববার এমন দাবির পর এ ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেলো।
ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সংস্থাটি বলছে, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ২৩ কিলোমিটার। পারমাণিক বোমার সম্ভাব্য বিস্ফোরণের ফলে উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে এ ভূমিকম্প হয়েছে। খবর- বিবিসির।
হাইড্রোজেন বোমা তৈরি ও তা ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য- কিম জং উনের এমন ঘোষণা দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এ ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেলো।
উত্তর কোরিয়ার যে অংশ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, কিলজু প্রদেশের ওই এলাকাতেই উত্তর কোরিয়া আগের পারমাণবিক অস্ত্রগুলোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এ ঘটনার পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডাকেন। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
এদিকে, চীন দাবি করেছে তারা উত্তর কোরিয়ায় ৪ দশমিক ৬ মাত্রার দ্বিতীয় আরেকটি ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে। প্রথম ভূ-কম্পনের ৮ মিনিট পর দ্বিতীয় ভূ-কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে চীনের ভূমিকম্প প্রশাসন।
অন্যদিকে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কারণে বিস্ফোরণে এ ভূমিকম্প হয়েছে।
এরআগে সকালে ‘ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন’ একটি হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান কিম। তিনি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য ওই বোমাটি পরিদর্শনও করেন।
এসআর/পিআর