১৮২ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল


প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

১৮২ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ি এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেলিনা বেগমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে বর্তমানে সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের সনাক্ত করে তাদের সনদ ও গেজেট বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি তাদের চলতি বছর ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর অন লাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন যাচাই বাছাইপূর্বক গেজেটভুক্ত করে তাদের নামে সনদ ইস্যু করা হবে।

ফাহমী গোলন্দাজ বাবুলের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প-নামে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। যা গতবছরের জুলাই মাস থেকে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, মোট এক হাজার ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি ২০১৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১০টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ১১৮টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ৮১টি কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে জানান, সারাদেশে বর্তমানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে মোট ৫৫ দশমিক ৭২৪৫ একর জমি ও ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিচারের রায় প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং অন্যান্যদের বিচার কার্যও এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও চিহ্নিত রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীপ্রধানদের দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে বিচার কার্য শুরু করা হবে। ভবিষ্যতে রাজাকার, আলবদর ও মানবতাবিরোধীদের উপজেলাভিত্তিক তালিকা করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।