৫ বছরে হজে ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে সৌদির আয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭

হজ ও ওমরাহ থেকে সৌদি আরবের রাজস্ব আয় ২০২২ সালের মধ্যে ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

হজ ও ওমরাহ মৌসুমে সৌদিতে পরিবহন, আবাসন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট এবং ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ আয় আসবে। খবর- আরব নিউজের।

সৌদি আরবের রিয়েল এস্টেট ও বিনিয়োগ কমটির সদস্য মুহসিন আল-শরিফ বলেন, প্রতিবছর হজ থেকে আসা রাজস্ব জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাহ হিসেবে কাজ করছে। এটি সৌদি সরকার ঘোষিত ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, এটি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে ও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। যেখানে শুধু মৌসুমী কর্মসংস্থান নয়, বরং স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন হজ ও ওমরাহ যাত্রী আনার বাস্তব পরিকল্পনার কথা জানান। যার মাধ্যমে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদীনার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সুসংহত অর্থনৈতিক কাঠামোয় নিয়ে আসা হবে।

হজযাত্রীদের মাধ্যমে সৌদিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশের সম্ভাবনাও ‍তুলে ধরেন তিনি।

আগামী ৫ বছরেই বার্ষিক রাজস্ব আয় ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে ছোট একটি বিনিয়োগকারী গ্রুপ বিদেশি কর্মীদের শোষণ ও পুঁজি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত, যাতে এ থেকে আরও বেশি রাজস্ব উঠে আসে।

তিনি জানান, হজ ও ওমরাহ থেকে প্রাপ্ত ১৫০ বিলিয়ন অর্থ সরিয়ে না নিয়ে বিভিন্ন খাতে পুনঃবিনিয়োগ করা উচিত। এর ফলে শুধু হজ সংশ্লিষ্ট অন্তত ১০ হাজার চাকরির ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নীতি-নির্ধারকরা।

তিনি আরও জানান, বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মুনাফা প্রাপ্তির কারণে হজ ও ওমরাহর আর্থিক দিকটি হেলা করার সুযোগ নেই। এ আয় মক্কা ও মদীনাতেও বিস্তৃত হচ্ছে। এটা শুধু হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য নয় বরং দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসনসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বর্ধিত করছে যা দেশটির শিল্প-বাণিজ্যের দুই তৃতীয়াংশের বেশি।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।