অধিকাংশ ভারতীয় বাড়ি কারাগার কক্ষের চেয়েও ছোট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭

ভারতের গ্রামীণ ও শহুরে জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই বসবাসের জন্য যে আয়তনের ঘরে বসবাস করেন তা একজন কয়েদীর জন্য কারাগারে নির্ধারিত জায়গার চেয়েও ছোট।

সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নমুনা জরিপ অফিসের করা ৬৯তম জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আবাসন ব্যবস্থা ও মডেল কারাগার বিষয়ক জরিপ ২০১৬ –তে আরও দেখা গেছে, গ্রামীণ এলাকার হতদরিদ্রদের ৮০ ভাগ পরিবারের ঘরের আয়তন ৪৪৯ বর্গফুটের মতো বা তার চেয়েও কম। ভারতীয় গ্রামীণ পরিবারে সদস্যদের গড় সংখ্যা প্রায় ৪.৮ জন। সে হিসেবে প্রতি সদস্যের জন্য ঘরে জায়গার পরিমাণ মাত্র ৯৪ বর্গফুট বা তার চেয়েও কম।

এটা কারাগার কক্ষের জন্য নির্ধারিত ৯৬ বর্গফুট জায়গার চেয়েও কম। তবে কারাগারে বিপুলসংখ্যক কয়েদী থাকায় তাদের বসবাসের প্রকৃত জায়গা অনেক কম।

অন্যদিকে, শহুরে জনগোষ্ঠীর দরিদ্রতম পরিবারের ৬০ শতাংশেরই ঘরের আয়তন ৩৮০ বর্গফুটেরও কম। শহুরে দরিদ্র পরিবারে গড়ে জনসংখ্যা ৪.১ জন। সে হিসেবে জনপ্রতি ঘরের জায়গার পরিমাণ ৯৩ বর্গফুট, যা কারাগার কক্ষের আকারের চেয়েও ছোট।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী এটা বলাই যায়, ভারতীয়দের অধিকাংশ খুব অল্প জায়গাতে বাস করেন। অনুমিতভাবেই ভারতের দলিত ও আদিবাসী পরিবারে ক্ষেত্রে জনপ্রতি ঘরের জমির পরিমাণ কম। দরিদ্রতম রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।

এদিকে, ভারতীয় নির্ধারিত জনগোষ্ঠীর জন্য বাড়িতে মাথাপিছু জায়গার পরিমাণ ৭০.৩ বর্গফুট, যেখানে নির্ধারিত উপজাতিদের ক্ষেত্রে তা ৮৫.৭ বর্গফুট। একই হতদরিদ্রদের ২০ ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে মাথাপিছু জায়গার পরিমাণ গ্রামে ৭৮ বর্গফুট ও শহরে ৭৫ বর্গফুট।

অন্যদিকে, ধনী জনগোষ্ঠীর ২০ ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে মাথাপিছু থাকার জায়গার পরিমাণ গ্রামে ১০২ বর্গফুট ও শহরে ১৩৫ বর্গফুট।

জরিপে দেখা গেছে, ঘরের আয়তনের ক্ষেত্রে মাথাপিছু সবচেয়ে কম আয়তনের ঘর রয়েছে বিহার প্রদেশে; যেখানে মাথাপিছু থাকার জায়গা মাত্র ৬৬ বর্গফুট।

অন্তত ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের জায়গার পরিমাণ একটি আদর্শ কারাগারের কক্ষের তুলনায় বেশি। তবে ৮টি রাজ্যে শহুরে জনগোষ্ঠীর মাথাপিছু থাকার জায়গার পরিমাণ কারাগার প্রকোষ্ঠের চেয়েও ছোট।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।