পানির জন্য আকুতি ছুরিবিদ্ধ যুবকের, ভিডিও ধারণে ব্যস্ত পথচারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৭

পাঁজরে বিঁধে রয়েছে দু'টি ছুরি। রক্তে ভেসে যাচ্ছে সারা শরীর। রাস্তায় পড়ে ছটফট করছেন যুবক। একটু পানির জন্য কাতর হয়ে আকুতি জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু মৃত্যপথযাত্রী যুবকের সাহায্যে এগিয়ে আসা তো দূরের কথা, ঘটনার ভিডিও ধারণে ব্যস্ত থাকলেন পথচারীরা।

গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বিষ্ণু গার্ডেন এলাকায়। বুধবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম আকবর আলি। মঙ্গলবার ব্যস্ত রাস্তার মাঝেই তাকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। তার পাঁজরে বিঁধে যায় দু'টি ছুরি। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আকবর।

যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে সাহায্যের জন্য আর্জি জানাতে থাকেন তিনি। পথচারীদের মধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে এসে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে শুরু করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই রকম দু’টি ভিডিও এ দিন পুলিশের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, পথচারীদের নিজের বাড়ির ঠিকানাও জানিয়েছিলেন আকবর। তার ভাই নাজারে ইমাম জানিয়েছেন, এক জন সহৃদয় নারী তার ভাইকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন, তিনি তখন তার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।

ইমামের দাবি, ওই নারীকেও হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। ইমামের ভাষায়, শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়েছিল আমার ভাই। একটা ছুরি সে পাঁজর থেকে বার করতে পারে। কিন্তু অন্যটি আর পারেনি।

ডিসিপি বিজয় কুমার জানান, ঘটনায় মুহাম্মদ শুভান এবং মুহাম্মদ আফজল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি, আকবর এক জন স্থানীয় দুষ্কৃতিকারী। সে তাদের থেকে চাঁদা চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা দিতে না চাওয়ায় বচসা বাঁধে। পরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আত্মরক্ষার জন্যই আকবরের কাছে থাকা ছুরি নিয়েই তারা তাকে পাল্টা আঘাত করেছে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, আকবরের বিরুদ্ধে এই রকম কোনো অভিযোগ রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তদের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আকবরের ভাই ইমামের দাবি, কয়েক বছর আগে অভিযুক্তদের এক জনের স্ত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই ঘটনাকে ঘিরেই তার ভাইয়ের উপর হামলা হয়েছে। আনন্দবাজার।

কেএ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।