ওমানে ৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বাংলাদেশি ১৫০ শ্রমিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭

ওমানের রাজধানী মাসকটে কর্মরত একশ থেকে দেড়শ বাংলাদেশি শ্রমিক গত ৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। মাসকটে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, সময়মত শ্রমিকদের পারিশ্রমিক না দেয়ার ব্যাপারে অামাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে।

দেশটির বারকা শহরের বাংলাদেশি শ্রমিকরা বলছেন, তাদেরকে গত এক বছর ধরে সময়মত পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে না। একজন কাঠমিস্ত্রির দাবি, আমরা কাজ করছি কিন্তু ঠিকমত বেতন দেয়া হচ্ছে না। দুই থেকে তিন মাস পর অামাদের বেতন দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ ৯ জুলাই বেতন পেয়েছি।

তিনি বলেন, অামি প্রতিমাসে ৯৫ রিয়াল বেতন পাই; এছাড়া অন্যান্য খরচ বাবদ আরো ২৫ রিয়াল পাই। কিন্তু আমরা যদি সময়মত বেতন না পাই, তাহলে আমাদের অবস্থাটা কী হবে একবার ভেবে দেখুন।

ওই কাঠমিস্ত্রি আরো বলেন, সময়মত বেতন না পাওয়ার কারণে অনেক শ্রমিক এই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। অথচ ওমানের আইন অনুযায়ী বকেয়া বেতন পরিশোধের নির্ধারিত সময়ের সাতদিন পর পর্যন্ত শ্রমিকের বেতন আটকে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, শ্রমিক এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি বিষয়টি সমাধান না হয়, সেক্ষেত্রে আমরা শ্রমিকদের আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিব।

‘আদালত রায় দিতে অনেক সময় দেরি করে; সেক্ষেত্রে কথা বলে বিষয়টি আপস করাই অনেক ভাল।’

একজন শ্রমিকের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কিছু টাকা দিয়ে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাড়ি চলে আসার পর টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর কথা বলা হলেও পরে আর তা পরিশোধ করা হয় না।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সোহারের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে চারমাস ধরে বেতন দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিনা বেতনে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়। এমনকি ঠিকমত খাবারও দেয়া হয় না।

তবে অভিযোগ ওঠার কিছুদিনের মধ্যেই শ্রম মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় দূতাবাস আটশ শ্রমিককে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।

সূত্র : টাইমস অব ওমান।

কেএ/এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।