জনসনের পাউডারে ক্যান্সার : ৪২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৭

জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার ব্যবহারের কারণে ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগকারী নারীকে চারশ ১৭ মিলিয়ন (৪১ কোটি ৭০ লাখ) ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মার্কিন এই বহুজাতিক কোম্পানিকে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার লস অ্যাঞ্জেলসের সর্বোচ্চ আদালত ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ইভা ইচেভিরিয়ার পক্ষে রায় দেন। আদালত বলছে, ট্যালকম পাউডার ব্যবহারের কারণে ভোক্তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকতে পারে সেবিষয়টি জনসন অ্যান্ড জনসন ঠিকমত নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইভার আইনজীবী মার্ক রবিনসন বলেন, ‘আদালতের জুরিদের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট এবং ইভা তার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।’ রায়ে উল্লেখ করা হয়, ইভাকে ৭০ মিলয়ন দিতে হবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এবং তিনশ ৪৭ মিলিয়ন দিতে হবে শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে। এই রায় জনসন অ্যান্ড জনসনের জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একই ধরনের চার হাজার আটশ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপর এক অভিযোগে মিসৌরির একটি অাদালতের রায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে তিনশ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। কারণ তারা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ওই পাউডার তৈরি করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়াতে একই ধরনের শতাধিক মামলা চললেও ইভার মামলার রায় সবার আগে ঘোষণা করা হয়। ৬৩ বছর বয়সী এই নারী জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার ব্যবহার করে ক্যান্সার রোগে একেবারে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

তার আইনজীবীর দাবি, ওই পণ্যে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কার কথা জেনেও জনসন অ্যান্ড জনসন নারীদের পণ্যটি ব্যবহারের জন্য বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করে।

তবে জনসনের পক্ষের আইনজীবী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করে বলেন, গবেষণায় করে দেখা গেছে ওই পণ্যে ক্যান্সার ছড়ানোর মত ক্ষতিকারক কোনো উপাদান নেই।

ইভার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত রায় দেয়ার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রদেশ মিসোরির আদালতের দেয়া একই ধরনের মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখেন; যেখানে আরও অনেক মামলা চলমান রয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে জনসনের তৈরি পণ্য ব্যবহারের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একই ধরনের অভিযোগ এনেছিলেন মিসৌরির এক নারী। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই নারীকে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে জনসন অ্যান্ড জনসনকে নির্দেশ দেন মিসৌরির আদালত।

দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন এই বহুজাতিক কোম্পানির পণ্য সামগ্রী ব্যবহারে ক্যান্সারের অভিযোগ উঠলেও কোনো ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করেনি জনসন।

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি শিশুদের ট্যালকম পাউডার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। মার্কিন এই বহুজাতিক কোম্পানির বেবি সোপ, লোশন, পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর বড় ধরনের বাজার রয়েছে বাংলাদেশেও।

সূত্র : রয়টার্স।

কেএ/এসআইএস/পিআর

রায়ে উল্লেখ করা হয়, ইভাকে ৭০ মিলয়ন দিতে হবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এবং তিনশ ৪৭ মিলিয়ন দিতে হবে শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে। এই রায় জনসন অ্যান্ড জনসনের জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।