বিয়ে করলেন ভারতের ‘লৌহমানবী’ ইরম শর্মিলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭

ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য মনিপুরের ‘লৌহমানবী’ খ্যাত ইরম শর্মিলা অবশেষে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন। রাজ্য সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে ১৬ বছর ধরে অনশন করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়া ইরম বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

জীবনের নতুন অধ্যায়ের শুরু করলেন মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চালিয়ে আসা ইরম শর্মিলা। ব্রিটিশ প্রেমিক ডেসমন্ড কটিনহোকে বিয়ে করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির তামিলনাড়ু প্রদেশের কোদাইকানালে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন তারা।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, প্রায় দু্ই মাসের আইনি জটিলতা কাটিয়ে ‘বিশেষ বিবাহ আইন-১৯৫৪’ বিয়ে করলেন শর্মিলা। তবে বিয়ের সব আয়োজন ছিল একেবারেই সাদামাটা। ঘরোয়া আয়োজনে দুজনের আত্মীয়-স্বজনকেও ডাকা হয়নি বিয়ের অনুষ্ঠানে।

রেজিস্টার অফিসে যাওয়ার আগে শর্মিলা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আমার অসুস্থ মাকে একটা ফোন করব। তার আশীর্বাদ চাইব। আমরা কাউকে কার্ড পাঠিয়ে নিমন্ত্রণ করিনি। আমাদের কোনো আত্মীয়ও আসেননি। স্থানীয় গির্জায় ধর্মীয় আচার পালন করা হবে। কোদাইকোনালের কিছু মানুষ উপহার ও শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে।

শর্মিলা চানু বলেন, তিনি কোদাইকানালেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়ছেন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইনের-১৯৫৮ (এএফএসপিএ) বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে ভুবনেশ্বরে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ সামিটে অংশ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন ইরম শর্মিলা। সামিটে মনিপুরে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের তথ্য তুলে ধরবেন তিনি।

মনিপুরে এএফএসপিএ বাতিলের দাবিতে টানা ১৫ বছর অনশন করেছেন ভারতের এই লৌহমানবী। গত বছরের ৯ অাগস্ট অনশন ভাঙেন তিনি। এরপর বিয়ে করে সংসারী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

পিপলস রিসার্জেন্স অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স (পিআরজেএ) দল গড়ে বিধানসভার নির্বাচনে লড়াই করেন ইরম শর্মিলা। মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে মাত্র ৯০ ভোট পান তিনি। পরে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন দীর্ঘদিনের লড়াকু এই লৌহমানবী।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।