রাস্তায় নামাজ পড়া নিয়ে যোগীর মন্তব্যে বিতর্ক
যদি ঈদের সময় রাস্তায় নামাজ পড়া বন্ধ না করতে পারেন তাহলে থানাগুলোতে জন্মাষ্টমী পালন বন্ধ করার অধিকার কারো নেই। এমনই মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাস্তায় নামাজ পড়া বন্ধ নিয়ে যোগীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন রাজ্যের অনেক মুসলিম নেতা।
রাজ্যের সাবেক সমাজবাদী পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে যোগী বলেন, যারা নিজেদের যদুবংশীয় বলে দাবি করে তারা থানায় জন্মাষ্টমী পালন নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। আদিত্যনাথের দাবি, প্রার্থনা ও কীর্তন পুলিশ বাহিনীতে উন্নতি আনতে সক্ষম।
একইসঙ্গে কানওয়ার যাত্রার (শিবভক্তদের বার্ষিক তীর্থযাত্রা) সময় মাইক, ডিজে ও মিউজিক সিস্টেম নিষিদ্ধ করার বিষয়েও মুখ খুলেছেন আদিত্যনাথ। যে সরকারি কর্মকর্তারা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই যাতে মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ধর্মস্থান চত্বরের বাইরে যেন আওয়াজ না যায়।
আদিত্যনাথ বলেন, তিনি প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কি সম্ভব? যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে কাওয়ার যাত্রাও যেমন হতো সেভাবেই হবে।
উত্তরপ্রদেশের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন যোগী আদিত্যনাথ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের (আরএসএস) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কানওয়ার যাত্রায় মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জানতে পারেন। মাইক, ডিজে বাজিয়ে কানওয়ার যাত্রার পক্ষে মত দেন যোগী।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, এটা কানওয়ার যাত্রা, না শবযাত্রা? কানওয়ার যাত্রায় বাজনা বাজবে না, ডমরু বাজবে না, ঢোল বাজবে না, চিমটে বাজবে না, লোকজন নাচবে না, গাইবে না, তাহলে কানওয়ার যাত্রা কীভাবে হবে?’
আরএসএসের তাত্ত্বিক নেতা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের বরাত দিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, প্রত্যেক গ্রাম ও শহরে গণেশ উৎসব পালনে কারো বাধা দেয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, অন্ত্যোদয়ের জন্য দীনয়াল পাঁচদশক আগে যে চিন্তাভাবনা করেছিলেন, সেগুলো সামনে রেখেই রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার চলছে। অন্ত্যোদয় দেশ, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে যুক্ত, যা দেশ, কাল সমস্ত পরিস্থিতিতেই শাশ্বত বলেও আদিত্যনাথ মন্তব্য করেন।
সূত্র: এবিপি আনন্দ।
এসআইএস/পিআর