গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা স্থগিত করল উত্তর কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৭

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করেছে উত্তর কোরিয়া। পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনা চলতে থাকার মধ্যেই হঠাৎ করেই পিয়ংইয়ং তাদের সুর কিছুটা নরম করল।

মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, গুয়ামের আমেরিকান সামরিক ঘাঁটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনা পর্যালোচনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তবে এ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া বলছে, তারা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আগামী কিছুদিন ধরে ‘নির্বোধ ইয়াংকিরা কী করে’ তা পর্যবেক্ষণ করবে। অন্যদিকে এক প্রতিক্রিয়ায় গুয়ামের গভর্নর এডি কালভো বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের কারণে কাজ হচ্ছে বলেই তিনি মনে করেন।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া জানায়, প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামের কাছে জলসীমায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী হামলা পরিকল্পনার ব্যাপারে নেতা কিম জং উনকে ব্রিফ করবে। একই সঙ্গে গুয়ামে হামলায় তার নির্দেশের অপেক্ষা করবে।

উল্লেখ্য, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের চার হাজার মাইল পশ্চিমে এবং উত্তর কোরিয়ার দুই হাজার ২০০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রণঘাঁটি। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ এই ঘাঁটিতে মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন বন্দর রয়েছে।

কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের ভূখণ্ডের ওপর মার্কিন স্পেশাল অপারেশন ফোর্স ও বোমারু বিমান পরিচালনায় বিশেষ ব্যবস্থা আছে এই দ্বীপে। অনায়াসেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

১৮৯৮ সালে মার্কিন-স্পেন যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কাছে দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ হারায় স্পেন। এরপর থেকেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সামরিক্ত শক্তিগুলোর নজরে পড়ে এই দ্বীপ।

১৯৪১ সালে পার্ল হার্বারে বোমা হামলার পর জাপানি বাহিনী দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপরে ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয় সেখানে। কিছু ঐতিহাসিক বলছেন, জাপানের সামরিক বাহিনী এই দ্বীপের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষকে হত্যা করেছে।

ইউনিভার্সিটি অব গুয়ামের প্রেসিডেন্ট ও গুয়াম দ্বীপের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সাবেক প্রতিনিধি রবার্ট আন্ডারউড বেলেন, ১৯৪৪ সালের ১০ জুলাই মার্কিন প্রচেষ্টায় গুয়াম স্বাধীনতা পায়। গত মাস এই দ্বীপ ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। উচ্চ বেকারত্ব থাকলেও সামরিক কার্যক্রম ও পর্যটন স্বর্গ হয়ে ওঠা গুয়ামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।