দোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে চীন-ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪০ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৭

দু’মাসের বেশি সময় ধরে ২৪ ঘণ্টাই দোকলামে অবস্থান করেছে চীন এবং ভারতের সেনাবাহিনী। কিন্তু গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে দু’পক্ষই সেই পরিস্থিতি বদলাতে বাধ্য হয়েছে বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রের খবরে জানানো হয়েছে।

দোকলামের বিতর্কিত এলাকা থেকে ভারত এবং চীন তাদের সিংহভাগ সেনা সরিয়ে নিয়েছে। দু’পক্ষেরই মাত্র ১০-১২ জন সেনা সেখানে অবস্থান করছেন। তবে আশপাশে আরও কিছু সেনা আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা কর্তাকর্তারা।

বৃষ্টি, ঠাণ্ডা হাওয়া এবং তুষারপাতের মধ্যে তিন-চার ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। উভয় পক্ষই বার বার সেনা বদলে শুধু বিতর্কিত এলাকায় নিজেদের উপস্থিতি বজায় রাখছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।

উভয় পক্ষেরই ৪শোর কাছাকাছি জওয়ান ছিলেন সেখানে। দু’সপ্তাহ আগে চীন দাবি করেছিল ভারত সেনার সংখ্যা কমিয়ে ৪০-এ নামিয়েছে। এখন আবার তুলনামূলক ভাবে ভারতীয় জওয়ানের সংখ্যা বেশি বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাংশ দাবি করেছে।

তবে চীনা সেনারা বিতর্কিত এলাকা থেকে সরে যেতে বাধ্য হলেও পুরোপুরি সরে গিয়েছে বলে মনে করছেন না সেনাকর্তারা। তাদের মতে, কাছাকাছি কোথাও নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে চীনা বাহিনীর বড় একটি অংশ। আবহাওয়ার উন্নতি হলে ফের চীনা সেনার সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা।

দোকলামের উপরে নজর রাখছেন এমন এক সেনা কর্মকর্তার দাবি, ‘যদি আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পরেও চীনা সেনার সংখ্যা না বাড়ায় তবে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ। ভারতও সে ক্ষেত্রে যথাযথ পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরানো হলেও দোকলামে বাড়তি সেনা মোতায়েন এবং সরঞ্জাম মজুত করার ক্ষেত্রে দু’পক্ষই সমান ভাবে সক্রিয় রয়েছে।

তিন সপ্তাহ আগে থেকেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর একটি অতিরিক্ত ব্রিগেড ওই তল্লাটে মোতায়েন করা হয়েছে।
কৌশলগত ভাবে সুবিধাজনক এলাকাতেই তাদের রাখা হয়েছে বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে। সব মিলিয়ে ১০-১২ হাজার সেনা দোকলামে জড়ো হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তা, বাঙ্কার, থাকার জায়গা, অস্ত্র-সরঞ্জাম রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রসদ সরবরাহের জন্য লাইনও তৈরি হচ্ছে।

চীনও বাড়তি বাহিনী এনেছে। ওই অঞ্চলে চীনের বেশ কিছু বাঙ্কার আছে। চীনা বাহিনীর দু’তিনটি ট্যাঙ্কও সেখানে এনে রাখা হয়েছে।

টিটিএন/জেআইএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।