হজযাত্রীদের সেবায় প্রায় দেড় লাখ কর্মী নিয়োগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩৮ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৭

এ বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যেই বহু হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। হজযাত্রীদের সেবায় সৌদির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পবিত্র দুই মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে।

শনিবার কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বানতান জানিয়েছেন, হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে ৯৫ হাজারের বেশি পুরুষ এবং নারীকে নিয়োগ দিয়েছে তার মন্ত্রণালয়। এই নারী-পুরুষ ছাড়াও বিশাল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী এবং বয় স্কাউট হজযাত্রীদের সেবায় কাজ করবে।

ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মক্কার আমির এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির চেয়ারম্যান প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল। ব্ঠৈকে হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে নির্বাহী এবং কার্যকরী পরিকল্পনার কথা আলোচনা করেন তিনি।

সালেহ বানতান জানিয়েছেন, সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীদের সমন্বয়ে হজের নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি। হজযাত্রীদের সেবায় আপ্রাণ কাজ করবেন তারা। ইরান এবং কাতারের হজযাত্রীদেরও অন্যান্য দেশের হজযাত্রীদের মতোই সেবা প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে কারো প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কিন্তু হজ নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি করা হলে তা সহ্য করা হবে না বলেও সতর্ক করেছেন সালেহ বানতান।

এ বছর সৌদির বাইরে থেকে প্রায় ১৭ লাখ হজযাত্রী এবং সৌদির ভেতরের ২ লাখ ১১ হাজার হজযাত্রী হজ পালন করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর মোট হজযাত্রী ২০ লাখ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সালেহ বানতান।

তিনি বলেন, আল্লাহর অতিথিদের সাদরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এবং তাদের সেবা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যেই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

হজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রকৌশলী, প্রশাসক, প্রযুক্তিবিদসহ প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ নিয়োগ করেছে দুই পবিত্র মসজিদ।

হজযাত্রীদের সেবায় প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ নিয়োগ করেছে মক্কা পৌরসভা।

মক্কার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, অসুস্থ হজযাত্রীদের চিকিৎসায় ৪ হাজারের বেশি শয্যা প্রস্তুুত রেখেছে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

টিটিএন/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।