ভারতের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ : দু’দিনে ৩০ শিশুর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৭

ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে; যাদের অনেকেই নবজাতক।

ঠিক কী কারণে এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু না বলা হলেও অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

এ ঘটনা নিয়ে করা আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনটি ওয়ার্ড মিলিয়ে মৃত ওই ৩০ শিশুই এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধের যে তত্ত্ব সামনে এসেছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠছে কেন বন্ধ করা হলো অক্সিজেন?

যে বেসরকারি সংস্থাটি ওই হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে তাদের দাবি, প্রায় ৭০ লাখ টাকার সিলিন্ডার কিনে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকার জন্য বারবার তাগাদা দেয়া হলেও টাকা পরিশোধ করছিল না হাসপাতাল। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছিল ওই সংস্থা।

সংস্থাটির দাবি চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল বকেয়া টাকা না পরিশোধ করলে তারা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করতে তারা বাধ্য হবেন।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং অবশ্য অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের দেয়া বিবৃতিতে দিয়ে বলা হয়েছে, অক্সিজেন বন্ধ হয়ে নয়, অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে শিশুদের।

জেলাপ্রশাসক রাজীব রাউতেলা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ২৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ শিশুর। টাকা বাকি থাকায় সরবরাহকারী সংস্থা অক্সিজেন বন্ধ করে দেয় বলে ওই হাসপাতালই আমাদের জানায়।

তবে এই শিশুদের মৃত্যুর জন্য অক্সিজেনের অভাবকে দায়ী করছে না হাসপাতাল। চিকিৎসকেরা বলছেন, তখনকার মতো অন্য জেলা থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে।

ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।