‘গুয়ামে হামলা যুক্তরাষ্ট্রে হামলার শামিল’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে হামলা করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দ্বীপটিতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে উত্তর কোরিয়ার হামলার পরিকল্পনার জবাবে বৃহস্পতিবার গুয়ামের গভর্নর ইডি কালভো এ কথা বলেন। খবল অাল জাজিরার।

বৃহস্পতিবার গুয়ামের জনগণ পিয়ংইয়ং-এর অন্যরকম এক হুমকি নিয়ে দিন শুরু করেন। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দ্বীপটির পাশে প্রশান্ত মহাসাগরে শাঝারি ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে চায় উত্তর কোরিয়া।

গুয়ামের গভর্নর ইডি কালভো উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাদের এলাকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।

কালভো আল জাজিরাকে বলেন, যে কোনো ধরণের হামলা সফল হবে না। কিন্তু গুয়ামে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবেই বিবেচনা করা হবে এবং উত্তর কোরিয়াকে অপ্রতিরোধ্য এক বাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে।

সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, যদি উত্তর কোরিয়া দ্বীপটিতে হামলা করে বসে তাহলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস মার্কিন সেনাবাহিনী রক্ষা করবে। অন্যরা তাদের পরিবারের সঙ্গে জরুরি পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করছেন।

গুয়াম দ্বীপের বাসিন্দা কেট কুইয়ামবাউ বলেন, গতকাল বিষয়টা সত্যিই ভীতিকর ছিল। কিন্তু এখন আমি পরিবারের সঙ্গে পরিকল্পনা করছি কোথায় যাবো, কী করবো। যদি জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সে ব্যাপারেও আমরা পরিকল্পনা করার চেষ্টা করছি।

দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সাত হাজার মার্কিন সেনা সেখানে রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দা ভিরজি ম্যাটসন (৫১) বলেন, আমি মনে করি গুয়ামে অবস্থান করা সেনারা আমাদের অনেক সাহায্য করবে।

তিনি আরও বলেন, যদি কোনো কিছু ঘটে, সে আশঙ্কায় দ্বীপকে রক্ষার জন্যই তারা এখানে অাছে।

কেএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।