বাঘ-হাতির থাবায় প্রাণ যাচ্ছে নিত্যদিন
ভারতে বাঘ-হাতির অাক্রমণে নিহতের সংখ্যা রীতিমতো আতঙ্কের। গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে একজন লোক বাঘ-হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান।
চলতি বছরের মে পর্যন্ত বাঘ-হাতির আক্রমণে এগারশ ৪৩ দিনে এগারশ ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
তবে ভারতের বন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসের দাবি, পশুদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের অনুপ্রবেশের কারণে এমনটা ঘটছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা ওই নথির তথ্যমতে, ২০১৪ সাল থেকে হাতির কবলে পড়ে এক হাজার ৫২ জন এবং বাঘের আক্রমণে ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এক-চতুর্থাংশের মৃত্যু ঘটেছে।
গত বছর পশ্চিমবঙ্গে এক বন্য হাতি প্রায় এক ঘণ্টার তাণ্ডবে পাঁচজনকে হত্যা এবং গাড়ি, বাড়ি তছনছ করে দেয়। চলতি বছরের জুনে আরেক হাতি দক্ষিণ তামিল নাড়ুর এক গ্রামে ১২ বছরের এক মেয়েসহ চারজনকে নির্মমভাবে মেরে ফেলে।
জাতীয় অপরাধ রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৫ সালে প্রাণীর আক্রমণে প্রায় সাড়ে নয়শ লোকের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই পরিসংখ্যানে আলাদাভাবে মৃত্যুর কারণগুলো উল্লেখ করা হয়নি।
২০১৪ সালের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৩০ হাজার হাতি রয়েছে। এছাড়া ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার চিতা বাঘ থাকার কথা জানানো হয়েছে ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে।
তবে চিতা বাঘের আক্রমণে নিহতের সংখ্যা সঠিকভাবে জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিতা বাঘের আক্রমণে শতাধিক লোকের প্রাণ গেছে।
সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ
কেএ/এমএস