নেসলের দুধে কস্টিক সোডা ও ব্লিচিং পাউডার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৭

নেসলের সরবরাহকৃত দুধে ‘নীরব ঘাতক’ কস্টিক সোডা ও ব্লিচিং পাউডার পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের নেসলের সরবরাহকৃত দুধে এসব রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। অভিযোগ ওঠার পর নেসলের দুধ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।

ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে বলছে, তামিলনাড়ুর দুগ্ধ উন্নয়ন মন্ত্রী কে টি রাজেনথ্রা বালাজি গত মাসে অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে নেসলে এবং রিলায়েন্সের সরবরাহকৃত দুধে কস্টিক সোডা এবং ব্লিচিং পাউডারের মতো নীরব ঘাতক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে।

কয়েক সপ্তাহ আগে বালাজি দাবি করে বলেন, তামিলনাড়ুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সরবরাহকৃত ভেজাল দুধের কারণে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। গত ২৭ জুন তিনি বলেন, এ ধরনের ভেজাল পণ্যের কারণে কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি আলসার ও ডায়াবেটিসও হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

রাজ্যে এই দুই ব্র্যান্ড নিষিদ্ধ করা হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে বালাজি বলেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে নেসলে ও রিলায়েন্সের দুধ নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

RAJENDRABALAJI

তামিলনাড়ুর এই মন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা মাধাভারামের অ্যাভিন ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করেছিলাম, তখন কেউ আমাদের বিশ্বাস করেনি। আমরা পরীক্ষার জন্য পুনের ল্যাবে নমুনা পাঠিয়েছিলাম; তারা আমাদের নমুনা পরীক্ষা করবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে এই তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত চেন্নাইয়ের একটি ল্যাবে আমরা নমুনা পরীক্ষা করি।’

এ ধরনের আরও ভেজালপণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে বালাজি বলেন, কয়েকটি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল এখনও আসেনি। ভেজাল পণ্যের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর তা জানিয়ে দেয়া হবে।

তামিলনাড়ুর এই মন্ত্রী বলেন, আইনি ফাঁকফোকড় আছে, এ দুই কোম্পানি জরিমানা দিয়ে রেহাই পেতে পারে। আমি জনসচেতনতা তৈরি ও জনগণকে সতর্ক করার জন্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করছি।

সূত্র : দ্য হিন্দু।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।