হায়েনাদের মুখে তুলে খাওয়ান তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৭

হায়েনা সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথম লাইনেই চলে আসবে, তারা এক ধরনের বন্য মাংশাষী প্রাণী। দেখতে কুকুর, শেয়াল, নেকড়ের মতো হলেও বেজির সঙ্গেও চেহারার মিল রয়েছে। একটি বড় কুকুরের প্রায় সমান হয় এরা। কিন্তু কুকুরের চেয়ে এরা হিংস্র। আর সেই হিংস্র প্রাণীদের মুখে তুলে খাওয়ান আব্বাস নামের এক তরুণ।

উত্তর আফ্রিকার পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ছোট শহর হরর। ভয়ঙ্কর সেই শহরকে অনেকেই হায়েনার শহর বলেই মনে করে। সূর্যের আলো নিভতে না নিভতেই শহর সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়ে যায় হায়েনাদের অবাধ বিচরণ।

আব্বাস আছেন বলেই হায়েনাদের আর ভয় পান না সেখানকার স্থানীয়রা। আব্বাস বলেন, তার বাবা হায়েনাদের খাওয়ানো শুরু করার পর থেকেই তারা আর আক্রমণ করে না।

ইউসুফ মুম সালেহ ছিলেন আব্বাসের বাবা। হায়নাদের ডেকে এনে খাওয়াতেন ইউসুফ। বাবার কাছ থেকেই বন্য হায়েনাদের পোষ মানিয়ে খাওয়াতে শিখেছিলেন আব্বাস। এখন সেটাই তার ভালোলাগা ভালোবাসা।

তবে সন্তানের ব্যাপারে তারা খুবই সচেতন। যদি কোনো ভাবে মনে কোনো রকম সন্দেহ জাগে, তা হলেই বিপদ। নিজেও একটি ছোট হায়েনা পুষেছেন আব্বাস। তাকে নিজের শোওয়ার ঘরেই রাখেন। সঙ্গে নিয়ে ঘুমাতে যান তিনি।

বাবার শুরু করা কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে খুবই খুশি আব্বাস। ছেলেমেয়েরা বড় হলে তাদেরও হায়েনাকে পোষ মানানোর কায়দা শিখিয়ে দেবেন তিনি।

বর্তমানে আব্বাসের বাড়িতে আসেন অনেক পর্যটক। পর্যটকদের দেখান কীভাবে নিজের মুখ থেকেও হায়নাদের মুখে খাবার তুলে দেয়া যায়। তিনি চান এই পশুদের যেন মানুষ ভুল না বোঝে। সূত্র রয়টার্স

কেএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।