টুইন টাওয়ারে হামলাকারীদের সঙ্গে কাতারের যোগসাজশ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৭

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নে কাতারের ভূমিকা নিয়ে বুধবার একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করবে নিউজ অ্যারাবিয়া। ‘কাতার...দ্য রোড টু ম্যানহাটন’ শীর্ষক ওই ডকুমেন্টারিতে ৯/১১তে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে কাতারের যোগসাজসের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।  

আবু ধাবির স্থানীয় সময় রাত ১২টায় ওই ডকুমেন্টারি প্রচার করা হবে। ৯/১১য়ের ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খালিদ শেইখ মোহাম্মেদ। সন্ত্রাসী লক্ষ্য এবং পরিকল্পনায় দীর্ঘদিন ধরে তাকে সুরক্ষা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কাতার।

ওই ডকুমেন্টারিতে সন্ত্রাসবাদে কাতারের গোপন সমর্থন এবং অর্থ সহায়তার বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। বিশেষ করে খালিদ শেইখ মোহাম্মদকে কাতারের স্বরাষ্ট্র এবং সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন খালিদ আল থানির সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। 

শুধু তাই নয় সাবেক আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি আল থানির সমবেদনার বিষয়টিও প্রকাশ করা হবে। 

১৯৯৬ সালে খালিদ শেইখ মোহাম্মদকে দোহা থেকে আটকের চেষ্টা করেছিল মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা। কিন্তু আল থানির মধ্যস্ততার কারণে তাকে আটক করতে পারেনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। এমনকি দোহা থেকে পালিয়ে যেতেও সক্ষম হন শেইখ মোহাম্মদ। 

যুক্তরাষ্ট্র খালিদ আল শেইখ মোহাম্মদকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছিল কিন্তু কাতার তাকে গ্রেফতার হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে। ওই ডকুমেন্টারিতে খালিদ আল শেইখ মোহাম্মদের বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং কাতারি সরকারের মধ্যকার আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরা হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) অভিযোগ খালিদ শেইখ মোহাম্মদকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন আল থানি। এমনকি গ্রেফতারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিষয়টিও খালিদ শেইখকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। 

সিআইএ, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, এফবিআই এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামত তুলে ধরা হবে ওই ডকুমেন্টারিতে। 

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।