২০১৬ সালে সিরিয়ার চেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৭

২০১৬ সালে সিরিয়ার চেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ভারতে। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দ্য কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০১৬ সালের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ভারতে জঙ্গি হামলা প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। সারা বিশ্বে সে তুলনায় জঙ্গি হামলার হার কমেছে ৯ শতাংশ আর সন্ত্রাসী হামলার কবলে বিশ্ব জুড়ে নিহতের সংখ্যাও কমেছে ১৩ শতাংশ।

ওই প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং ইয়েমেনে তুলনামূলক ভাবে জঙ্গি হামলা কমেছে।

একই বছরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার দেশগুলোর মধ্যে ইরাক এবং আফগানিস্তানের পরেই তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারত।

ভারতে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সংখ্যাও অন্য দেশের তুলনায় বেশি। দেশটিতে ৫২টি সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠী রয়েছে । ভারতের মাটিতে দুই তৃতীয়াংশ হামলা চালিয়েছে মাওবাদী সংগঠন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশি সংখ্যক হামলা চালিয়েছে এমন অভিযুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং দ্বিতীয়তে তালেবান সংগঠন। বোকো হারামকে পেছনে ফেলে মাওবাদীদের স্থান তৃতীয়।

২০১৬ সালে ভারতে চালানো প্রতিটি হামলায় গড়ে দশমিক ৪ শতাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সারা বিশ্বে এই সংখ্যা ২ দশমিক ৪। ২০১৬ সালে চালানো হামলার অধিকাংশই প্রাণঘাতি নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে জঙ্গি হামলার পরে পণবন্দি বা অপহরণের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যানগত দিক থেকে ভারতের হার কমেছে ৬৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৬৬ এবং ২০১৬ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩১৭।

রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের যে সব রাজ্যে বেশি জঙ্গি হামলা চালানো  সেগুলো হলো;জম্মু-কাশ্মিরে ১৯ শতাংশ, ছত্তীসগড়ে ১৮ শতাংশ, মণিপুরে ১২ শতাংশ এবং ঝাড়খণ্ড ১০ শতাংশ। ২০১৬ সালে জম্মু -কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে ৯৩ শতাংশ।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।