সৌদিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন, আরো হামলার হুমকি
সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলের বন্দরনগরীর তেল শোধনাগারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেন সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সৌদি শাসকগোষ্ঠীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইয়েমেনে আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আরো হামলা চালানো হবে।
রোববার ইয়েমেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ রশিদ বলেন, সানায় যদি রিয়াদ নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন শেষ না হয়; তাহলে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করবে ইয়েমেন সেনাবাহিনী। আরবি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রিয়াদ-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবন্ধকতা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন ইয়েমেন সেনাবাহিনীর ওই শীর্ষ কর্মকর্তা। সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলের ইয়ানবু বন্দর নগরীর তেল শোধনাগারে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বোরকান-২ (ভলকানো-২) সফল হামলার পর এসব কথা বলেন তিনি। ইয়েমেনের এই কর্মকর্তা সৌদি আরবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর দাবি করেছেন।
ইয়েমেনের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে সৌদি আরবে আকস্মিকভাবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। যা সঠিক টার্গেটে আঘাত হেনেছে। হামলায় ইয়ানবুর তেল শোধনাগারের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের ইয়েমেন ইতোমধ্যে সৌদি আরবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বেশ কয়েকবার। এর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র কাহার-১ (এই ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম) ও বোরকান-১ রয়েছে।
আন্দোলনের মুখে পালিয়ে থাকার ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর আল হাদিকে ফের ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ২৫ মার্চ থেকে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে সৌদি আরব। প্রাণঘাতী ব্যাপক সৌদি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে হাজার হাজার নারী ও শিশু রয়েছে।
এসআইএস/পিআর